ছবি: সংগৃহীত
ম্যাচের তখন ৮৫ মিনিট। আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। ফ্রান্সকে তখন পর্যন্ত আটকে রেখেছে বেলজিয়াম। ফরাসিদের একের পর এক আক্রমণেও নিজেদের রক্ষণ অক্ষত রেখেছিল তারা। তবে এ দফায় আর ফ্রান্স নয় নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনল বেলজিয়াম। ফ্রান্স স্ট্রাইকার রান্দাল কোলো মুয়ানির শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে ফেলেন বেলজিয়াম ডিফেন্ডার ইয়ান ভার্টেগেন। গোল করে বেলজিয়াম, কিন্তু সেটা নিজেদের জালেই। আত্মঘাতী গোলে ১-০ গোলের জয়ে ফ্রান্স চলে যায় ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে।
দুর্ভাগ্য বুঝি একেই বলে। নয়তো ধরে নেওয়া হচ্ছিল ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও যেই ম্যাড়মেড়ে ফুটবল খেলছে ফ্রান্স তাতে এদিন তাদের টাইব্রেকার অবধি নিয়ে যাবে বেলজিয়াম রক্ষণরা। যদিও শেষ পর্যন্ত নিজেরাই নিজেদের কবর খুঁড়েছে দলটি। বিদায় নিয়েছে ইউরোর শেষ ষোলো থেকে। যদিও যেই ফুটবল খেলেছে তারা তাতে বিদায়টা তাদের প্রাপ্যই ছিল। কেননা, গোটা ম্যাচে ২২ বার আক্রমণে গেলেও মাত্র ২ বার গোল পোস্টে শট করেছে বেলজিয়াম। অন্যদিকে ৫৮টি আক্রমণ করেছে ফ্রান্স যার মধ্যে সব মিলিয়ে ১৮বার শট নিয়েছে দলটি। যদিও সেই শটগুলো ছিল না গোলের জন্য যথেষ্ট।
এদিন বিরতির আগে বেশ কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুতেই গোলের সুযোগ পান চুয়ামেনি। ৪৮ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে তাঁর ডান পায়ের নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন বেলজিয়াম গোলকিপার কোয়েন কাস্তেলস। গোলের নেশায় মরিয়া ফ্রান্স ধীরে ধীরে আক্রমণের ধারও বাড়াতে শুরু করে। এই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৫৪ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে পোস্টের বাইরে শট নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বেলজিয়ামও আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে। ৭০ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার পাস থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন বেলজিয়াম স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। কিন্তু ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইনন ডাইভ দিয়ে ঠেকান। শেষ দিকে ফ্রান্সের আক্রমণ আরও বাড়ে। এমবাপ্পে, আঁতোয়ান গ্রিজমানদের আক্রমণে তখন কাঁপছে বেলজিয়ামের রক্ষণভাগ। তবে ৮৩ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন বেলজিয়াম মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনা। বক্সের মাথা থেকে ডান পায়ের জোরালো শট নিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা। এ যাত্রায়ও বেলজিয়ামের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান মাইনন। এর ঠিক ২ মিনিট পর নিজেদের ভুলে ম্যাচটা হাতছাড়া করে বেলজিয়াম। আত্মঘাতী গোল হজম করে বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে।
রাতের আরেক ম্যাচে শেষ ষোলোতে স্লোভেনিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে পর্তুগাল। তাদের বিপক্ষেই আগামী ৫ জুলাই রাত ১ টায় কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নামবে ফ্রান্স।