ছবি: সংগৃহীত
এবারের ইউরোর অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ড। সেই দলটির বিপক্ষেই কিনা ম্যাচের প্রথমে লিড পেয়ে গিয়েছিল স্লোভাকিয়া। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল দলটি। ইংল্যান্ড পড়ে গিয়েছিল ভয়াবহ বিপদে। তবে এদিন ঠিকই প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। ২-১ গোলের জয় তুলে নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।
গেলসেনকির্চেনের আউফশালকে স্টেডিয়ামে এদিন ইংল্যান্ডের প্রথমার্ধটা কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। বল দখলে আধিপত্য দেখালেও হজম করতে হয়েছে গোল। ম্যাচের ২৫ মিনিটেই ইভান শরাঞ্জের গোলে লিড পেয়ে যায় স্লোভাকিয়া। যেই গোল প্রথমার্ধে আর শোধ দিতে পারেনি ইংলিশরা। পিছিয়ে পড়ে অস্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠা ইংল্যান্ড গোল পেয়ে যায় শুরুতেই। ম্যাচের ৫০ মিনিটে স্লোভাকিয়ার জাল খুঁজে নেয় ফিল ফোডেনের বল। কিন্তু অফসাইডে থাকায় ফোডেনের গোলটি বাতিল হয়ে যায় ভিএআরে। ফের ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। এরপর ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত ইংলিশদের আটকে রাখে স্লোভাকিয়া। ইংলিশরা পরে যায় ভয়াবহ বিপদে। শঙ্কা জাগে বিদায়ের। কোনো রকমে ম্যাচের সময় বাড়াতেও অন্তত একটি গোল চায় তাদের। অন্যদিকে রক্ষণে কঠিন দেওয়াল তুলে দাঁড়িয়েছে স্লোভাকিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে দলকে পথ দেখালেন জুড বেলিংহ্যাম। রিয়ালের হয়ে প্রত্যাবর্তনের ডিএনএ যেন নিজের শরীরে ঢুকিয়ে ফেলেছেন এই ফুটবলার। এদিনও হতাশ করলেন না তিনি। ইনজুরি টাইমে তার গোলেই সমতায় ফেরে ইংলিশরা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে আর ইংলিশদের আটকে রাখতে পারেনি স্লোভাকিয়া। ৯১ মিনিটে হ্যারি কেইনের গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের বাকি সময় আর গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টারে পা রাখে ইংল্যান্ড। বিদায় নিশ্চিত হয় স্লোভাকিয়ার।
আগামী শনিবার রাতে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে বিদায় করা সুইজারল্যান্ড।