ছবি: সংগৃহীত
প্রথমার্ধে গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে তাই সেই কাজটিই আগে করেছে আর্জেন্টিনা। ৪৭ মিনিটেই পেরুর জালে বল জড়িয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নিয়েছেন লাউতারো মার্তিনেজ। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচেই গোল পেলেন তিনি। তাকে গোলে সহায়তা করেছে ডি মারিয়া। এরপর সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সহজ সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে ৭২ মিনিটে পাওয়া সেই পেনাল্টি থেকে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেননি লিয়েনদ্রো পেরেদেসে। পরে যদিও আরও একবার আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেছেন মার্তিনেজ। তাতে ২-০ গোলের জয় নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনা।
কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছিল নিয়মরক্ষার। যেখানে চোটের কারণে মাঠে নামেননি লিওনেল মেসি। নিষেধাজ্ঞার কারণে ডাগআউটে ছিলেন না কোচ লিওনেল স্কালোনি। তার জায়গায় আর্জেন্টিনার ডাগআউটের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ওয়াল্টার স্যামুয়েল। তবে তাতে আর্জেন্টিনার জয়ে বাধা হতে পারেনি পেরু। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ২-০ গোলের জয় তুলে গ্রুপপর্বের সবকটি ম্যাচেই জয় তুলেছে আর্জেন্টিনা।
এদিন প্রথমার্ধে সব ক্ষেত্রেই দাপট ছিল আর্জেন্টিনার। ম্যাচের ৮০ শতাংশ বল দখলে রেখে পেরুর রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে কোপার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। যদিও ৫ বার গোলের উদ্দেশে শট নিয়েও কোনো বারই জালের দেখা পায়নি তারা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে সেই কাজটাই আগে করেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডি মারিয়ার পাস দারুণ দক্ষতার সঙ্গে জালে জড়িয়ে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচে এগিয়ে নেন লাউতারো। এরপর ম্যাচের ৮৬ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় জয়ের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লাউতারো। পূরণ করেন জোড়া গোল। তবে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে অবশ্য একটি গোল প্রায় হজমই করে বসেছিল আর্জেন্টিনা। পেরুর নেওয়া শট গিয়ে গোলপোস্টে বাধা পেয়ে ফিরে আসে। তাতে গোল হজম করা থেকে বাঁচে আর্জেন্টিনা। তবে আর্জেন্টিনার জয়ের সেই ব্যবধান আরও বাড়তে পারত যদি না ৭২ মিনিটে পেরেদেসের নেওয়া পেনাল্টি শট সাইডবারে লেগে ফিরে না আসত। তবে দিন শেষে গোলের ব্যবধানটা আরও বড় না হওয়ার আক্ষেপ থাকলেও দাপুটে জয়ই পেয়েছে আর্জেন্টিনা।