ছবি: সংগৃহীত
কোনো কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। কাটছে না বিরাট কোহলির রান খরা। সবশেষ আইপিএলে আসর সর্বোচ্চ ৭৪১ রান করে বিশ্বকাপে পা রাখা কোহলি পাচ্ছেন না রানের দেখা। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ খেলে কোহলির নামের পাশে রান মোটে ৭৫। গড় মাত্র ১০.৭১। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিব্রতকর এক রেকর্ড কোহলিকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। শেষ ম্যাচে এই গড় বাড়িয়ে নিতে না পারলে সবচেয়ে কম গড় সম্পন্ন ওপেনিং ব্যাটারদের কাতারে নাম লেখা হয়ে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ড রানের মালিক কোহলির। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে যে, কোনো কারণে ফাইনালে কোহলিকে একাদশে না রাখা হলেও প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকবে না।
তবে নামটা যেহেতু বিরাট কোহলি। অর্জন-রেকর্ডে ঠাসা যার পুরো ক্যারিয়ার। তাকে তাই গোনায় না ধরে উপায় নেই। একাদশে থাকার লাইসেন্স কোহলিকে একরকম দিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তারা তো এটাও মনে করেন, কোহলি ফাইনালের জন্যই সেরাটা জমিয়ে রেখেছেন। এমন একজনকে তাই হিসেবে রাখতেই হচ্ছে প্রোটিয়াদের। কেননা, নিজের দিনে কোহলি কি করতে পারেন তা তো কম বেশি সকলেরই জানা। তাছাড়া একটা পুরো আসর রান খরায় কাটিয়ে দেওয়ার মতো ব্যাটার কোহলি নন। তাই অফফর্মের কোহলিও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য মাথা ব্যথার বড় কারণ। সেটা বুঝা গেল প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের কথাতেও।
কোহলি রান না পেলেও ফাইনালে তাকে আটকানোর পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছেন মার্করাম। কারণ তার জানা আছে কোহলির ক্ষেত্রে ফর্ম ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মার্করাম বলেন, ‘আসলে আমার মনে হয় এখানে চিন্তার কিছু নেই। সে (কোহলি) দারুণ একজন প্লেয়ার। তাদের পুরো ব্যাটিং লাইনআপ দারুণ। ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেখানে উঠানামা থাকবেই। আপনি চাইলেই সবসময় ভালো খেলতে পারবেন না বিশেষ করে ব্যাটার হিসেবে। আমরা আমাদের প্ল্যানিং, প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি তা কাজে লাগাতে পারব।’
আইপিএলে খেলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা এখন অনেক পরিণত। যেকোনো আসরেই শিরোপার অন্যতম দাবিদার তারা। তবে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকাতেও শুরু হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। যা নিয়ে মার্করাম বলেন, ‘হ্যাঁ এসএ২০ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের জন্য দারুণ ব্যাপার। আমরা সবাই জানি আইপিএল কতটা সাহায্য করেছে ভারতের ক্রিকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকায় একই কাজটা এসএ২০ করছে। অনেক দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বের নানা প্রান্তের লিগে সুযোগ পাচ্ছে। আশা করি ভবিষ্যতে এটি আরও বড় ভূমিকা রাখবে। যদিও এখনই অনেক ভূমিকা রেখেছে।’