২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে রান পাচ্ছিলেন না কুইন্টন ডি কক। আট ম্যাচে তার গড় ছিল ২০। পেস খেলতে অভ্যস্ত বাঁ-হাতি ওপেনার সমস্যায় পড়েছিলেন। পেসারদের বিরুদ্ধে খেলতেই পারছিলেন না। ডি কককে রানে ফিরিয়েছিল ১৫ কেজি ওজনের একটি মাছ। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মনোবল ফিরে পেয়েছিলেন ডি কক। এবারের টি ২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রথম কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল তারা। সেই দলের ওপেনার ডি কক। টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও টি ২০ তে এখনও দেশের হয়ে খেলেন তিনি। ডি ককের ছোটবেলার কোচ জিয়োফ্রে টোয়ানা। তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৬ সাল থেকে চিনি ডি কককে। ও তখন স্কুলে পড়ত। স্কুল ক্রিকেটে নাম করছে। সবাই ডি কককে নিয়ে আলোচনা করছে। ১৬ বছর বয়সে সব ম্যাচে শতরান করছিল। কিন্তু খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়েও গেছে সে।’
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর ভেঙে পড়েছিলেন ডি কক। আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ১৫ কিলো ওজনের একটি টাইগার মাছ ধরেন। সেই ঘটনার পর মানসিক জোর ফিরে পান ডি কক। তার কোচ বলেন, ‘মিচেল জনসনের বাউন্সার খেলা, মাছ ধরার থেকে অনেক কঠিন। কিন্তু অত বড় একটা মাছ ধরতে ঘাম ঝরাতে হয়। ডি কক ভালো ক্রিকেটার। কখনো কখনো ব্যর্থতা আসে। কিন্তু ও জানে সেখান থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসতে হয়। তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারে। জীবনের নানা ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয় ও।’
এবারের টি ২০ বিশ্বকাপে আট ম্যাচে ২০৪ রান করেছেন ডি কক। দুটি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। ফাইনালেও তার ব্যাট থেকে রান চাইবে দক্ষিণ আফ্রিকা।