ছবি: সংগৃহীত
বহুবার এই সেমিফাইনালের মঞ্চ থেকে চোখে জল নিয়ে মাথা নিচু করতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেটা এবার ঘোচার পথে। আফগানদের ধসিয়ে ব্যাটারদের কাজটা মামুলি বানিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। ব্যাটারদের মুখে তুলে দিয়েছে মোয়া। এখন সেই মোয়া কেবল চিবিয়ে খেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের। তাহলেই মিলবে ফাইনালের সহজ টিকিট। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং তোপে প্রথমবার সেমিফাইনালে খেলতে নামা আফগানরা গুটিয়ে গেছে মাত্র ৫৬ রানে। এমন ম্যাচেও যদি হেরে বসে প্রোটিয়ারা তাহলে বুঝতে হবে ফাইনালটা তাদের কপালে নেই।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান ইনিংসের প্রথম ওভারেই হারায় এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে। আফগানদের ব্যাটিংয়ের মূল শক্তির জায়গা তাদের ওপেনিং জুটি। এবারের বিশ্বকাপে মোট ৪ বার এই জুটি থেকে এসেছে ৫০ এর বেশি রান। ৩ বার পেরিয়েছে ১০০ রানের ঘর। সেই জুটি এদিন প্রোটিয়ারা ভেঙে দেন মাত্র ৪ রানে। প্রথম ওভারেই মার্কো জেনসেন ফেরান গুরবাজকে। তার বোলিং তোপে রানের খাতাও খুলতে পারেননি গুরবাজ। এরপর মাঝে এক ওভার না যেতেই ফের বোলিংয়ে এসে গুলবাদিন নাইবকে ৯ রানে সাজঘরের পথ দেখান জেনসেন। ভেঙে দেন স্টাম্প।
জেনসেন যখন তাণ্ডব শুরু করেছেন কাগিসো রাবাদায় বা আর থেমে থাকবেন কেন। চতুর্থ ওভারে বল হাতে ফেরান ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবীকে। ২০ রানে ৪ উইকেট নেই আফগানদের। এমন ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিন ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেনি আফগানদের কোনো ব্যাটার। মাঝে করিম জানাতকে নিয়ে অধিনায়ক রশিদ খান কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিলেও তাবরেজ শামসি এসে সর্বনাশটা করে যান আফগানদের। একই ওভারে নুর আহমেদকেও সাজঘরের পথ ধরতে হয় শামসির ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে।
৫০ রানেই ৩ উইকেট হারায় দলটি। আর এক উইকেট হারালেই ইনিংসের সমাপ্তি। সেখানে শেষ পর্যন্ত আর ৬ রান যোগ করতে পেরেছে আফগানরা। গুটিয়ে গেছে ৫৬ রানে। শেষ দিকে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন শামসি। তিন উইকেট তুলেছেন জেনসেনও। বাকি ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাদা ও নর্টজে। তাদের বোলিং তোপে মাত্র ১১.৫ ওভারেই ৫৬ রানে অলআউট আফগানিস্তান। যেখানে আফগানের দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ওমরজাইয়ের। সেটাও মাত্র ১০ রানের।