বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল মানেই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটভক্তদের কাছে বুকে কাঁপন ধরানো এক শব্দ। কেন এমন হয়! ক্রিকেট সম্পর্কে টুকটাক খোঁজখবর রাখলে কারণ আপনার অজানা থাকার কথা নয়।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বহুবার হৃদয় ভেঙেছে প্রোটিয়াদের! কত স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে! ক্রিকেট বিশ্বে দক্ষিণ আফ্রিকা সমীহ জাগানো এক দল। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর সঙ্গে এক শ্বাসে নাম নেওয়ার মতো অবস্থানে পৌঁছে গেছে তারা।
কিন্তু যদি দলটির ট্রফি ক্যাবিনেটের দিকে একবার চোখ বোলান, তাহলে শুধু শূন্যতাই চোখে পড়বে আপনার। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ভুরি ভুরি ট্রফি জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকা যে এখনো শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি। শিরোপা তো দূরের পথ,কখনো যে কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলা হয়নি তাদের।
১৯৯২ থেকে ওয়ানডেতে নিয়মিত খেললেও পাঁচবার সেমিফাইনালে গিয়েই থেমে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ মিশন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গত আট আসরে দুইবার সেমিফাইনালে উঠলেও একবার পাকিস্তান এবং আরেকবার ভারতের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় প্রোটিয়াদের।
বাংলাদেশ ২৫ বছরে যা পারেনি, রশিদরা ১৪ বছরেই তা করে দেখালেন
ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে সাতবার সেমিফাইনালে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান নবম আসরে টানা সাত ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। প্রোটিয়ারা সেমিতে উঠতেই আবার সে প্রশ্ন উঠছে,এবার কি পারবে দক্ষিণ আফ্রিকা? নিজেদের ‘চোকার্স’ তকমা ঘুচিয়ে অন্তত ফাইনালে কি খেলতে পারবে তারা?
এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে। ভোর সাড়ে ৬টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচটি যে মোটেও সহজ হবে না, তা নিশ্চিতভাবেই বলে দেওয়া যায়। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শেষ চারের দেখা পেয়েছে আফগানিস্তান। গ্রুপপর্বে নিউজিল্যান্ড ও সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বকাপজয়ী দলকে টেক্কা দিয়েছে আফগানরা।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা আফগানদের চ্যালেঞ্জে উতরে যেতে হবে প্রোটিয়াদের।