তাওহিদ হৃদয় কেন ছয় নম্বরে? নেটিজেনদের সমালোচনার ঝড়
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
বাংলাদেশ দলের এই মুহূর্তের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং অর্ডার ছয় নম্বরে নামানোর প্রতিক্রিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানদের বিরুদ্ধে যখন ১২.১ ওভারে টাইগারদের প্রয়োজন ছিল ১১৫ রান টপকানোর। ঠিক সেই সময় দলের হার্ডহিটার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়কে উপরে ব্যাট করার পরিবর্তে আরও নিচে নামানো হয়। বিশেষ করে অফ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকারেরও পরে তাকে ব্যাট করতে পাঠানো হয়।
নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে ক্রীড়া বিশ্লেষক সৈয়দ আবিদ হোসাইন সামি লেখেন, ‘দলের সেরা ব্যাটারকে ৬ এ নামিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট!’
হৃদয়কে ৬ নম্বরে ক্রিজে পাঠানোয় শুধু সামিই নন, বিস্মিত হয়েছেন দেশের তাবৎ ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ফেসবুকে করা মন্তব্যে হিমু আক্তার নামের এক টাইগার সমর্থক বলেন, ‘আজব দলের আজব আজব সব সিদ্ধান্ত!’
মুশফিক নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘ওরা (টিম ম্যানেজম্যান্ট) সমীকরণই জানে না’।
সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ কত টাকা পাচ্ছে
শাওন মৃধা নামের একজন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, হৃদয় নাম্বার থ্রি (তিন নাম্বার ব্যাটিং পজিশন) ডিজার্ভ করে।
তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং অর্ডার নিচে নামানো নিয়ে আহমেদ নামের একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আচ্ছা, সৌম্য সরকারের পরে তাসকিনকে পাঠাইল না কেন? ’
নবীন ইসলাম নামের একজন বলেন, তাওহীদ হৃদয়কে ৩ নাম্বারে আর রিশাদকে ৫ নাম্বারে। একজন ফর্মে থাকা ব্যাটারকে কোন যুক্তিতে ৬ নাম্বারে পাঠানো হলো?
এছাড়া প্রথম ওভারে চার-ছক্কা হাঁকানো লিটন কেন পরে মন্থর ব্যাটিং করেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নেটিজেনরা।
বাংলাদেশ ২৫ বছরে যা পারেনি, রশিদরা ১৪ বছরেই তা করে দেখালেন
রাজু ইসলাম নামের একজন বলেন, লিটন প্রথম থেকে ক্ল্যাসিক খেলা দেখাতে চাচ্ছে। তার প্রেশার পড়ছে সবকিছুর উপর। এজন্যই হার, না হয় ১২.১ ওভারের আগেই ম্যাচ জিততো বাংলাদেশ। এমন সুযোগ আর জীবনেও আসবে না।
প্রসঙ্গত, টপ অর্ডারের বেশিরভাগ ব্যাটার যেখানে ১০০-এর উপর স্ট্রাইক রেট তুলতে ব্যর্থ হন, সেখানে ১২৮ স্ট্রাইক রেটে ৭ ম্যাচে হৃদয়ের রান ১৫৩–যা এই আসরে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ।
ক্রীড়া বিশ্লেষকদের মতে, সুপার এইটের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় কোনো লক্ষ্য পায়নি বাংলাদেশ। ১১৬ রান তাড়া করতে হত ১২.১ ওভারে। বর্তমান সময়ে টি-টোয়েন্টিতে যা খুবই সম্ভব। তবে বাংলাদেশের বর্তমান ব্যাটিং ফর্ম বিবেচনায় হয়ত তা কিছুটা কঠিন ছিল। এমন পরিস্থিতিতে কাজটাকে সহজ করতে দলের সেরা বা সবচেয়ে মারকুটে ব্যাটারকে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিজে পাঠানোই হত বুদ্ধিমানের কাজ।তবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট হাঁটল উল্টো পথে। হৃদয়কে ক্রিজে পাঠানো হয় ছয় নম্বরে।
পাওয়ার প্লে পেরিয়ে যাওয়ার পর মাঠে নেমে তেড়েফুঁড়ে খেলার চেষ্টা করেন হৃদয়। তাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৫ স্ট্রাইকে ব্যাট চালিয়ে ৯ বলে দুই চারে ১৪ রান করেন। অথচ পাওয়ার প্লে চলাকালে তাকে নামানো হলে হয়ত এর সুবিধা নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দিতে পারতেন হৃদয়।