ছবি সংগৃহীত
আইসিসি আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনাল। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের সুযোগ ছিল নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সে সুযোগ হেলায় হারালো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বিশ্বকাপের সুপার এইটের তৃতীয় ম্যাচে সেন্ট ভিনসেন্টে মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান-বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করে আফগানরা। সেমিতে যেতে এই রান তাড়া করতে হতো বাংলাদেশকে ১২.১ ওভারের মধ্যেই। ওভারপ্রতি প্রায় ১০ রান করে নিলেই এই রান তাড়া করে যেতো বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে এই ধরণের ম্যাচ হরহামেশাই রানতাড়া করে জেতার নজির আছে। কিন্তু পারল না বাংলাদেশ।
আসরজুড়ে ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যেই আটকে রইল বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিম ৩ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেনি। টপ অর্ডারে রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৫ বলে ৫)। এমন ম্যাচে অভিজ্ঞতার প্রতিদান দিতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। প্রথম বলেই নাভিন উল হককে উইকেট দিয়েছেন তিনি। রানখরায় ভুগতে থাকা সৌম্য সরকার আজ একাদশে জায়গা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।
শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চাপে আউট হয়েছেন তাওহিদ হৃদয় (৯ বলে ১৪) এবং রিশাদ হোসেন (১ বলে ০)। যার প্রতি সমর্থকদের ভরসা ছিল, সে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও হতাশ করেছেন। ৯ বলে মাত্র ৬ রান করেছেন রিয়াদ।
সেমির দৌড় থেকে ছিটকে গেলেও এই ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮ বলে ১৬ রান। ক্রিজে আছেন লিটন দাস (৪৪ বলে ৫০*) এবং তাসকিন আহমেদ (৩ বলে ০*)। জয় দিয়ে হলেও বিশ্বকাপ মিশন শেষ করুক এটাই তো চাওয়া সমর্থকদের।