ছবি: সংগৃহীত
এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম সফল আফগানদের ওপেনিং জুটি। তিন ম্যাচে তাদের ওপেনিং জুটি পেরিয়েছে শত রানের দেখা। আজও ৫০ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিল রহমানুল্লাহ গুরবাজ-ইব্রাহিম জাদরান জুটি। এই বিশ্বকাপে যা চতুর্থবারের মতো। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম জুটি হিসেবে একই আসরে চার বার ৫০ পেরনো জুটি গড়লেন গুরবাজ-ইব্রাহিম। এমন জুটি তাই বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠছিল দুশ্চিন্তার কারণ। তবে ফিফটির পরপরই ইব্রাহিমকে থামিয়ে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশকে এনে দেন বহুল কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানদের সংগ্রহ ১২ ওভার শেষে ১ উইকেট খরচায় ৫৯ রান।
অথচ, সাকিবের হাত ধরে প্রথম সাফল্যটা পেয়েও যেতে পারত বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি তাওহিদ হৃদয় ইব্রাহিম জাদরানের পাওয়ার শটটা হাতে জমাতে না পারলে। তবে এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল আফগান ওপেনিং জুটি পাওয়ারপ্লেতে না ভাঙতে পারলেও তাদের রানে লাগামটা টেনেই ধরে ছিল বাংলাদেশ।
তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদরা এদিন পাওয়ারপ্লেতে কি দারুণ বোলিংই না করেছে আফগান ব্যাটারদের বিপক্ষে। গতি ও বাউন্সারে আফগান ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষাটায় নিয়েছে তারা। তাতে খানিকটা ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছে আফগানরা। পাওয়ারপ্লেতে হারাতে হয়নি কোনো উইকেট। জমা করেছে ২৭ রান। তবে আফগানরা সেই রান পুষিয়ে নিচ্ছিল ওয়াইড ও অতিরিক্ত রান থেকে।
এর আগে, সবশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ২৪ রানে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটা ফিরে পেয়েছে প্রাণ। সমীকরণ বলছে সুপার এইটে কোনো জয় না পেলেও এখনও সেমিতে যেতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে আফগানদের হারিয়ে দিতে হবে নূন্যতম ৬২ রানের ব্যবধানে নতুবা রান তাড়া করতে হবে ১২.৫ ওভারের মধ্যেই। কাজটা আপাতত দৃষ্টিতে কঠিনই বটে। এরপরও একটা সুযোগ কিন্তু পাচ্ছে বাংলাদেশ। আফগানদের সমীকরণটা অবশ্য সহজ। সেমিতে যেতে জিততে হবে তাদের, আর হারলে বাদ। এমন ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছে আফগানরা।
সমীকরণটা যখন এমন তখন সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে দুটি বদল এনেছে বাংলাদেশ। জাকের আলি অনিকের জায়গায় ব্যাটার হিসেবে সৌম্য সরকারকে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ দল। সেই সঙ্গে শেখ মাহেদীকে বাদ দিয়ে একাদশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ। অর্থাৎ আফগানদের বিপক্ষে পেসে বাড়তি নজর দিয়েছে বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে আফগানদের একদশ অপরিরর্তীত।