সবশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ২৪ রানে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটা ফিরে পেয়েছে প্রাণ। সমীকরণ বলছে সুপার এইটে কোনো জয় না পেলেও এখনও সেমিতে যেতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে আফগানদের হারিয়ে দিতে হবে নূন্যতম ৬২ রানের ব্যবধানে নতুবা রান তাড়া করতে হবে ১২.৫ ওভারের মধ্যেই। কাজটা আপাতত দৃষ্টিতে কঠিনই বটে। এরপরও একটা সুযোগ কিন্তু পাচ্ছে বাংলাদেশ। আফগানদের সমীকরণটা অবশ্য সহজ। সেমিতে যেতে জিততে হবে তাদের, আর হারলে বাদ।

সমীকরণটা যখন এমন তখন সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে দুটি বদল এনেছে বাংলাদেশ। জাকের আলি অনিকের জায়গায় ব্যাটার হিসেবে সৌম্য সরকারকে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ দল। সেই সঙ্গে শেখ মাহেদীকে বাদ দিয়ে একাদশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ। অর্থাৎ আফগানদের বিপক্ষে পেসে বাড়তি নজর দিয়েছে বাংলাদেশ দল।

তিন পেসারের সঙ্গে চাইলে সৌম্য সরকারকেও কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ দল। এর বাইরে স্পিনার হিসেবে থাকছেন সাকিব আল হাসান ও রিশাদ হোসেন। আফগানরা অবশ্য ভরসা রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের একাদশটাতেই। তিন পেসারের সঙ্গে তিন স্পিনার খেলাচ্ছে তারা। 

তার আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছে আফগানরা। যেখানে তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দিয়ে ম্যাচে জয়ের পথটা প্রস্তুত করা। অন্যদিকে বাংলাদেশের লক্ষ্য আফগানদের অল্পতে আটকে দিয়ে দাপুটে জয় তুলে সেমির কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে ফেলা।

বাংলাদেশ একাদশ:

লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ:

রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নায়েব, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), নাঙ্গেলিয়া খারোতে, নূর আহমদ, নবীন-উল হক, ফজল হক ফারুকী।