স্বাগতিক দল খেলায় একটু বাড়তি সুবিধা পায়। নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলোয়াড়রা সর্বস্ব উজাড় করে খেলেন। তাতে সাফল্যও আসে। কখনো কখনো শিরোপাও ধরা দেয়। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক হওয়ার মানেই যেন শিরোপার দাবি ছেড়ে দেওয়া!
২০০৭ সালে প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বসেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। প্রোটিয়াদের যে শিরোপা ধরা দেয়নি, সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না।
এরপর একে একে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজও ঘরের মাঠে শিরোপার দেখা পায়নি। ২০১২ সালে শ্রীলংকা প্রথম স্বাগতিক দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ফাইনালে ৩৬ রানে হেরে বসে তারা।
পরের আসরগুলোতে বাংলাদেশ, ভারত, আরব আমিরাত-ওমান ও অস্ট্রেলিয়াও টুর্নামেন্ট আয়োজন করে শিরোপার দেখা পায়নি। এমনকি ঘরের মাঠে ফাইনালের দেখাও পায়নি তারা।
এবার যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র। চমক দেখিয়ে সুপার এইটে উঠলেও সেখানেই সাঙ্গ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ মিশন। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘরের মাঠে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা উৎসব করতে চাইলেও সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিতে হয়েছে তাদেরও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের শাপমোচনের অপেক্ষা তাই আরও বেড়েছে। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ২০২৬ সালে। টুর্নামেন্টের যৌথ আয়োজক ভারত-শ্রীলংকা। এই শাপমোচনের দায় এবার তাদের কাঁধে।