ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবছে বাংলাদেশ, যা বললেন পোথাস
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
নিক পোথাস। ছবি সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র এক ম্যাচে দেড়শ পেরোনো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বে যে তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে, তিনটিই লো স্কোরিং ম্যাচ। তবে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট পেয়েও নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আর এতে হাতছাড়া হচ্ছে ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে কন্ডিশন এবং পাওয়ার হিটিংয়ের ব্যর্থতাকে দুষলেন টাইগার সহকারী কোচ নিক পোথাস।
আগামীকাল সুপার এইটের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পোথাস। ব্যাটসম্যানদের একেরপর এক ব্যর্থতায় উইকেটের দোহাই দিলেন তিনি। এখান থেকে বের হতে হলে পাওয়ার হিটিংয়ে দক্ষতা বাড়ানোর কথা বলছেন তিনি।
পোথাস বলেন, ‘শুধু আমাদের ব্যাটারদের কথা বললেই হবে না। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে সব ব্যাটারদেরই সংগ্রাম করতে হয়েছে। ব্যাটিং এমন কেন হলো এটা ভাবতে গেলে একটু অন্য গ্রুপগুলোর সাথে তুলনা করা উচিৎ। নিউইয়র্কে উইকেট কেমন ছিল সবাই দেখেছে। সেন্ট ভিনসেন্টেও এতটা সহজ ছিল না। ব্যাটাররা আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ’
‘ভারতীয় দলে দেখুন, ঋষভ পন্তের উইকেটে সেট হতে ১০ বল খেলতে হচ্ছে। শুরুতে সে খুবই শান্ত ছিল। হার্দিক ও দুবেও ঠিক একই কাজ করেছে। কারণ এখানে খেলাটা পাওয়ারের। দিনশেষে তারা কিন্তু বড় বড় ছক্কা হাঁকিয়েছে। শক্তিই আসল জিনিস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। আপনার হাতে শক্তি থাকলে আপনি শান্ত থেকেই খেলতে পারবেন। ’
বাংলাদেশের মতো কন্ডিশনে পাওয়ার হিটার পাওয়া কঠিন। অথচ ভারতের রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়ারা সহজাতভাবেই বড় শট খেলছে। ভারতের বিপক্ষে ১০ বলে ২৪ রান করে কিছুটা সামর্থ্য দেখিয়েছেন রিশাদ হোসেন।
পোথাস আরও বলেন, ‘জেনেটিক্যালি পাওয়ার আপনি পাবেন না। তাই আপনাকে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আমরা দেখেছি রিশাদের ব্যাটিং। নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে এখন পর্যন্ত সে খুব দ্রুত অনেক উন্নতি করেছে। তবে পাওয়ার তৈরি করতে সময় লাগবে। আপনাকে শক্তিশালী হতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাওয়ার খুঁজতে হয় না। তাদের খেলোয়াড়রা জন্মগতভাবেই শক্তিশালী। আমাদের তা নেই, তাই ভিন্নভাবে এটা অর্জন করতে হবে। স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশন থেকে শুরু করে আর কীভাবে, বাংলাদেশি পন্থায় শক্তি পাওয়া যায় আমরা দেখছি। ’
২০০৭ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নয় আসরে অংশ নিয়ে স্রেফ একবার সুপার এইটে খেলছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে সমর্থকদের হতাশার শেষ নেই। অন্যান্য দলগুলো যেখানে সামর্থ্য বাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই বললেই চলে।
‘২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোন কোন বিষয় বদলে গেল এটা খুঁজে বের করতে হবে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ যা করেছে এখনও তা করে থাকলে ব্যাপারটায় চমকে যাওয়ার কিছু নেই। এমন নয় যে তারা সামনে এগোয়নি। অন্যান্য দল হয়ত আরও অনেক বেশি এগিয়েছে এ কারণে বড় পার্থক্য তৈরি হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে হলে পাওয়ার প্রয়োজন, পুরো বিশ্বে এটাই চলছে। ’