নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে মান বাঁচল জার্মানির, শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডও
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৬:৪৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত
এবারের ইউরোতে স্বাগতিক দল জার্মানি। স্বাভাবিকভাবেই দলটিকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছে সমর্থকরা। গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে দলটি নিশ্চিত করে ফেলেছিল শেষ ষোলোও। এরপরও গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় প্রত্যাশা করেছিল দলটির সমর্থকরা। তবে সেটি আজ হয়নি।
উল্টো নাটকীয়ভাবে প্রত্যাবর্তনে হারের লজ্জায় পড়া থেকে বেঁচেছে জার্মানরা। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে দারুণ গোলে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত শেষ করেছে ১-১ সমতায়। নিশ্চিত জয়ের পথে থেকেও শেষটায় জার্মানিকে না হারাতে পারার দুঃখ থাকলেও; সুইজারল্যান্ড অন্তত খুশি হতে পারে এই ভেবে যে, জার্মানদের সঙ্গে তারাও এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোয় যাচ্ছে।
ফ্রাঙ্কফুর্টে এদিন অবশ্য শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল জার্মানদের। বল দখলে রেখে সুইজারল্যান্ডের রক্ষণের কঠিন পরীক্ষায় নিচ্ছিল তারা। তবে জার্মানদের রুখতে সতর্ক দৃষ্টি ছিল সুইস ডিফেন্ডারদের। এরপরও সুইসদের সর্বনাশটা ম্যাচের ১৭ মিনিটে করে আসেন রবার্ট আনড্রিচ। বক্সের বেশ বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোল সুইসদের জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। তবে একই আক্রমণের শুরুতে বক্সের ভেতর জামাল মুসিয়ালা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ফাউল করায় ভিএআর যাচাইয়ের পর বাতিল করা হয় গোলটি।
গোল হজম করার পর নিজেদের রক্ষণ নিয়ে আরও সতর্ক হয় সুইসরা। সুযোগ বুঝে আক্রমণেও যায় দলটি। তাতে কাজও হয়। ম্যাচের ২৮ মিনিটে জার্মান সমর্থকদের স্তব্ধ করে এগিয়েও যায় সুইজারল্যান্ড। রেমো ফ্রুয়েলারের সহায়তায় অসাধারণ এক স্লাইডিং শটে গোল করে সুইসদের এগিয়ে দেন ডান এনডয়ে। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালালেও নিজেদের রক্ষণে জমাট বেধে জার্মানদের রুখে দিচ্ছিল সুইসরা। জশুয়া কিমিখ, জামাল মুসিয়ালা ও ফুলক্রুগরা একের পর এক আক্রমণ চালায় সুইস রক্ষণে। ম্যাচের ৭০ মিনিটে কিমিখের দারুণ একটি শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ব্লক করে সুইজারল্যান্ডকে বাঁচিয়ে দেন ম্যানুয়াল আকাঞ্জি। শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠা জার্মানরা তখন নিজেদের রক্ষণ এক রকম খালি করে এসে আক্রমণ চলায় সুইস রক্ষণে। এতে সুযোগ পেয়ে যায় সুইসরাও। ৮৪ মিনিটে জার্মান শিবিরকে স্তব্ধ করে ব্যবধান ২–০ করে সুইজারল্যান্ড।
তবে এবার অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয় সেই গোল। সুইসরা তখন জার্মানিকে হারানোর স্বপ্নে বিভোর। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। যেকোনো সময় বাজবে ম্যাচের শেষ বাঁশি। সে কারণেই হয়তো কিছুটা গা এলিয়ে দিয়েছিল সুইসরা। আর সেই সুযোগটিই দারুণভাবে লুফে নিয়ে জার্মানদের ত্রাতা হয়ে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচিয়েছেন ফুলক্রুগ। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটা। আর তাতেই গ্রুপসেরা হিসেবে শেষ ষোলোয় পা রাখে জার্মানি। অন্যদিকে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে যায় সুইসরা।