মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসান। ছবি সংগৃহীত
২০০৭ থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবকয়টি আসরেই খেলেছেন সাকিব আল হাসান। আরেকটা বিশ্বকাপ আসতে সাকিবের বয়স ছাড়িয়ে যাবে ৩৯ বছর। অন্যদিকে দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর বয়স সাকিবের চেয়েও বেশি। সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় এই দুই ক্রিকেটারকে সময় থাকতে অবসরের চিন্তা করতে বলেছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সাবেক কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
সাকিব এবং মাহমুদউল্লাহর হাত ধরে বাংলাদেশ জয়ের বীরত্বগাঁথা লিখেছে বহু ম্যাচে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে তাদের অবদান এবং গুরুত্ব নিয়ে সংশয় নেই কারো। তবে লম্বা সময় ধরে ফর্মহীনতা চেপে বসলে অবসর নিয়ে ভাবা উচিত বলে মনে করেন নাজমুল আবেদীন। নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে সাকিবদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন বর্ষীয়ান এই কোচ। তাদের বহু অসময়ে এগিয়েও এসেছেন তিনি।
রোববার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘এটা ওরা বুঝবে (কখন অবসর নিতে হবে)। সিদ্ধান্তটা ওদের নেওয়া উচিত। ওদেরও বোঝা উচিত একটা সময় আসে কিন্তু যখন সবারই চোখে পড়ে কে ভালো খেলে, কে খারাপ খেলে। দলে কার অবদান রাখার সুযোগ আছে কার নেই। এখানে একটা দায়বদ্ধতার ব্যাপারও আছে কিন্তু। ওরা যেই মাপের ক্রিকেট খেলেছে, ওদেরই উচিত মোটামুটি ফর্ম থাকতে থাকতে অবসরে যাওয়ার যেন ওরা বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। সাকিব নিজেও বলেছে, যেদিন সে ড্রাইভিং সিটে থাকবে না সেদিন থেকে আর খেলবে না। জাজমেন্টটা এখন নিজের থেকে আসা উচিৎ।’
ম্যাচ জেতার জন্য দরকার নিবেদন এবং আগ্রাসী মনোভাব, এমন ক্রিকেটারদেরই দলে দেখতে চান খ্যাতিমান এই কোচ। নাজমুল ফাহিমের সাফ কথা, এখন ভালো ক্রিকেট খেলার সময় শেষ। জেতার জন্যই খেলতে হবে। আর দলে তাদেরই থাকা উচিত, যারা জয়ের জন্য খেলবে। জয় পেতে হলে বাংলাদেশ দলকে বর্তমান মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে বলছেন তিনি।
‘ওরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছে, সেই ধরনের ক্রিকেট থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। একটা সময়ে আমরা বাজে ক্রিকেট খেলতাম। ওরা এসে সেটা বদলেছে। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি। কিন্তু এখন ভালো ক্রিকেট খেলাই যথেষ্ট না। এখন জেতার জন্য খেলতে হবে। যেটা খেলে তানজিম সাকিব। যেটা খেলে তাওহীদ হৃদয়। ওরা সেই খেলাটা খেলতে জানে। ওদেরকে সেই সুযোগটি দেওয়া উচিত। নতুন গ্রুপ অব পিপলের আসা উচিত যারা জেতার জন্য খেলবে। শুধু ভালো খেলার জন্য খেলবে না।’