টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। সুপার এইটের ম্যাচ খেলতে বার্বাডোজে গিয়ে সেখানে তারা হালাল খাবার পাচ্ছেন না। এমনকি আইসিসির খাদ্য তালিকাতেও হালাল খাবার নেই বললেই চলে। যেহেতু আফগানিস্তান দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই মুসলিম, তাই হালাল খাবার না পেয়ে বেশ বিপদেই পড়তে হয়েছে তাদের। অগত্যা এখন রশিদ-নবীদের রান্না করে খেতে হচ্ছে।
বার্বাডোজে ভারতের বিপক্ষে সুপার এইটের ম্যাচের আগে খাবার নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। আফগানিস্তান দল এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে অংশে অবস্থান করছেন, সেই বার্বাডোজে মোট জনসংখ্যার ৭৫ ভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ওই অঞ্চলে মুসলমানের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি হবে না। তাই হালাল খাবার সেখানে সহজলভ্য নয়।
বার্বাডোজে যাওয়ার আগে সেন্ট লুসিয়াতেও অবস্থান করেছিল আফগানিস্তান দল। তবে সেখানে সমস্যা অতটা প্রকট ছিল না বলে জানান আফগান দলের এক ক্রিকেটার, ‘সেন্ট লুসিয়াতে আমাদের তেমন সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখানে এটি সহজলভ্য নয়। শেষ পর্যন্ত আমাদের এক বন্ধু হালাল মাংসের ব্যবস্থা করেছে এবং আমরা নিজেরাই সেটি রান্না করেছিলাম।’
এর আগে এক টিভি শোতে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও হালাল খাবার নিয়ে সমস্যার কথা খোলাখুলিভাবে জানান, ‘আইসিসির নির্ধারিত খাবারের জায়গাতেও হালাল খাদ্য নেই বললেই চলে। তাই প্রায় সময়েই খাবার নিজেদেরই রান্না করে খেতে হচ্ছে।’
রান্নার বাড়তি কাজের কারণে যে খেলার প্রস্তুতিতে ব্যঘাত ঘটছে সে বিষয়টিও জানাতে ভোলেন রশিদ, ‘এর ফলে আমাদের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটছে। কারণ প্রস্তুতি বা বিশ্রামের বদলে আমাদের দলের সদস্যরা স্থানীয়দের কাছ থেকে হালাল খাবারের ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত। এটি সত্যিই খুব চাপের।’
সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৪৭ রানে হেরে যায় আফগানিস্তান। আগামী রবিবার (২৩ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। সুপার এইটের দৌড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জিততেই হবে তাদের।