বিশ্বকাপে ফিক্সিং গুঞ্জনে প্রমাণ চায় পিসিবি, অন্যথায় শাস্তির হুশিয়ারি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
ছবি সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পাকিস্তান। শক্তির বিচারে পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাবরের আজমের দল। পাকিস্তান দল নিয়ে বিতর্ক আর সমালোচনা আসছে চতুর্দিক থেকে। এবার সে আগুনে ঘি ঢাললেন দেশটির বিভিন্ন ইউটিউবার এবং সাংবাদিক। তাদের অনেকের দাবি, বিশ্বকাপে ম্যাচ ফিক্সিং করেছে পাকিস্তানের কতিপয় খেলােয়াড়।
এমন পরিস্থিতিতে ফায়দা নিচ্ছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছে পাকিস্তান, এমন খবর প্রচার করছে তারা। অদ্ভূত পরিস্থিতিতে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দেশটির সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানের কাছে বোর্ডের এক সূ্ত্র জানিয়েছে, ফিক্সিং নিয়ে কোন ক্রিকেটারের উপর নেতিবাচক ধারনা নেই তাদের। যারা ফিক্সিংয়ের দাবি তুলেছে তাদের কাছে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ চায় পিসিবি।
পিসিবির ওই সূত্র বলেছে, ‘আমরা সব ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানি। সীমার মধ্যে থেকে কেউ সমালোচনা করলে সেটি গ্রহণযোগ্য এবং তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যখন ভিত্তিহীন তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়, সেটি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।’
যদি উপযুক্ত প্রমাণ উপস্থাপন না করে এসব ‘অপতথ্য’ ছড়ানো হয়, সেক্ষেত্রে আইনের দ্বারস্ত হওয়ার হুশিয়ারি পিসিবির। এ নিয়ে বোর্ডের আইন বিভাগ কাজ করছে বলেও জানিয়েছে বাবর আজমদের বোর্ড।
‘যখন ক্রিকেটারদের ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই, তখন কেন অনুসন্ধানের মতো বিষয় আসছে? যিনি অভিযোগ তুলেছেন, তার উচিৎ প্রমাণ হাজির করা। আমরা আমাদের আইনি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে যেন তারা নোটিশ জারি করে এবং প্রমাণ চাওয়া হয়। যদি কোনো প্রমাণ না পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। ছয় মাসের মধ্যে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি নিশ্চিতের নিশ্চয়তা রয়েছে পাঞ্জাবের আইনে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের কাছে হেরে গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়ে গত আসরের ফাইনালিস্ট পাকিস্তান। শেষ দুই ম্যাচে আয়ারল্যান্ড এবং কানাডাকে হারালেও সুপার এইটে যাওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও লিগ পর্ব থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান।