অস্ট্রিয়ার ভুলে স্বস্তির জয় পেয়েছে ফ্রান্স। আত্মঘাতী গোলে কোনও মতে ১-০ ব্যবধানে জিতল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
প্রতিপক্ষের ভুলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ঝড় তুলেন কিলিয়ান এমবাপে ও গ্রিজমানরা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় লড়াই করেও গোলের দেখা পাননি।
অস্ট্রিয়া খেলার শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করে সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু পারল না স্মরণীয় কিছু করে দেখাতে।
সোমবার রাতে জার্মানির সবচেয়ে বড় শহর ডুসেলডর্ফে ইউরো কাপে অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে পরাজতি করে ফ্র্যান্স।
খেলার ৮ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় ফ্রান্স। আদ্রিওঁ রাবিওর পাস ধরে বক্সে ঢুকে শট নেন এমবাপে, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক পাত্রিক পেন্স।
প্রথম ২০ মিনিটে ফরাসিদের আধিপত্যের পর পাল্টা আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে।
খেলার ৪৫ মিনিটে ছন্দপতন হয় অস্ট্রিয়ার। ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠেছিল ফ্রান্স। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে বল ভাসিয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু কোনও সতীর্থ তার নাগাল পাননি। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন ম্যাক্সিমিলিয়ান উবের।
৫৪তম মিনিটে দল ও সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়ে সুবর্ণ একটা সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাপে বল পেয়ে দ্রুত গতিতে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন। সামনে তখন একমাত্র বাধা গোলরক্ষক; কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
৬৭তম মিনিটে থিও এরনঁদেজের গোলমুখে বাড়ানো বলে টোকা দিতে পারেনিনি গ্রিজমান, আর মার্কাস থুরামের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
শেষ দিকে প্রতিপক্ষের বক্সে হেড করতে গিয়ে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন দান্সোর কাঁধে লেগে মুখে আঘাত পান এমবাপে। বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই পড়ে থাকেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উঠে দাঁড়ান, তার নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।