Logo
Logo
×

খেলা

যে কারণে নেপালি অধিনায়কের সঙ্গে তানজিমের ‘উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়’

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম

যে কারণে নেপালি অধিনায়কের সঙ্গে তানজিমের ‘উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়’

রোহিতের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তানজিমের। ছবি: সংগৃহীত

অল্প পুঁজি নিয়ে পাওয়ার প্লেতে এক বিধ্বংসী স্পেলেই নেপালি টপ অর্ডার তছনছ করে দিয়েছেন তানজিম হোসেন সাকিব। শুধু বোলিংয়ে নয়, তরুণ পেসারের আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষাও ছিল দেখার মতো। যেভাবে নেপালের অধিনায়ক রোহিত পৌডেলের সঙ্গে তার কথার লড়াই হলো, তা দেখার মতো এক দৃশ্য।

তৃতীয় ওভারে ২ উইকেট শিকার করে যেন টগবগ করে ফুটছিলেন তানজিম। ঠিক এ সময় নেপালি অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে ‘বাতচিত’ বাংলাদেশি পেসারের। একপর্যায়ে দুজনের মাঝে আম্পায়ারকে আসতে হলো। তো কী নিয়ে লেগেছিল দুজনের? 

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তানজিমের প্রশংসা করে রোহিত বললেন, ‘তানজিম নতুন বলে সত্যি দারুণ বোলিং করেছেন। উইকেট অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের মধ্যে আসলে কিছুই হয়নি। সে বলছিল, পারলে মারো। আমি বলছিলাম, বল করে যাও।’
 
মিক্সড জোনে আসা তানজিম সাকিবের কাছেও জিজ্ঞেস করা হলো একই প্রশ্ন। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের নায়ক বললেন, ‘ওকে বলছিলাম, ইটস নট ইজি ব্রাদার। ইটস নট ইজি। আলহামদুলিল্লাহ আমরা জিতেছি।’

১০৬ রানের অল্প পুঁজি নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের দিকে তেড়েফুঁড়ে যাওয়ার এই সাহস, আত্মবিশ্বাস কীভাবে পেয়েছেন, তার ব্যাখ্যায় দার্শনিক মন্তব্য তানজিমের, ‘আপনাকে সব সময়ই আক্রমণাত্মক থাকতে হবে। অ্যাটাকিং ইজ বেস্ট ডিফেন্স। কখনোই রক্ষণাত্মক মাইন্ডসেটে যেতে পারবেন না। এটাই আমরা বিশ্বাস করি।’

শুধু এই ম্যাচেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও তানজিম সাকিব আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক মানসিকতার তরুণ। শুধু তিনিই নন, ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা প্রত্যেক ক্রিকেটারকে আত্মবিশ্বাসী ও ভীষণ স্মার্ট মনে হবে আপনার। এটির ব্যাখ্যায় তানজিম সাকিব বললেন, ‘আমার মনে হয়, একজন খেলোয়াড়ের হারার আগে না হারাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কখনো মনে করি না হেরে যাব। খারাপ দিন গেলে ওখান থেকে কী শিখলাম, এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কখনোই নেতিবাচক চিন্তা করি না। নিজের ওপর ও দলের ওপর অনেক বিশ্বাস করি। আমরা ইনশাআল্লাহ অনেক দূর এগিয়ে যাব।’

কালও একই সূত্র ধরে ম্যাচ জিতেছে বলে জানালেন তানজিম। বললেন, ‘আমরা কখনোই আশা হারাইনি। কারণ, আমরা জানি দিন শেষে আমাদের মোস্তাফিজ ভাই আছে। সবাই ওনার ওপর ভরসা করে। তিনি সেটা দেখিয়েছেনও। ৭ রানে ৩ উইকেট, ১৮ ওভারে একটা মেডেন উইকেট। আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা শেষ পর্যন্ত খেলে ম্যাচটা বের করে আনতে পারব।’ 

এখন বাংলাদেশের সামনে সুপার এইটের চ্যালেঞ্জ। তিন কঠিন প্রতিপক্ষ অপেক্ষা করছে সেখানে—অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে তানজিম সাকিব বললেন, ‘ক্রিকেট নাম দিয়ে হয় না। ক্রিকেট ব্যাট-বলের খেলা। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। দিন শেষে দেখা যাবে কে জেতে, কে হারে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম