কারও শরীরের আকার নিয়ে রসিকতা করা একেবারেই অপরিপক্ব মানসিকতার লক্ষণ। আবার সেটা যদি হয় শুধু খেলার মাঠে কেউ যথাযথ পারফর্ম করতে না পারার ফলে, তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত গর্হিত কাজের পর্যায়ে চলে যায়। পাকিস্তান দলে ফর্ম নিয়ে তোপের মুখে থাকা আজম খানকে প্রতিনিয়ত তার স্থুলাকৃতির শরীরের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হতে হচ্ছে।
এমন সময়ে আজম খানের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। তার মতে, আজমের পারফরম্যান্স নিয়ে সবাই কাটাছেঁড়া করতেই পারে, কিন্তু তাকে বডি শেমিং করা একেবারেই অনুচিৎ।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানি ব্যাটার ইমাম উল হকও আজম খানকে তার শারীরিক ফিটনেসের কারণে ট্রল করার বিরোধিতা করেছিলেন। এর ফলে একজন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সে সরাসরি প্রভাব পড়ে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের সিরিজের সময় থেকেই নিন্দুকদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন আজম খান। সে সময় তার ফিটনেস এবং পারফরম্যান্স নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অঘটনের শিকার হয় পাকিস্তান। সে ম্যাচে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরের পথ ধরেন আজম। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ব্যাপক বডি শেমিং করা হয়। পাকিস্তানের কিংবদন্তি উইকেটকিপার-ব্যাটার মইন খানের ছেলে আজমকে দলে নেওয়ায় কেউ কেউ স্বজনপ্রীতির গন্ধও খুঁজে পান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ার পর ভারত এবং কানাডার বিপক্ষে তাকে একাদশে রাখা হয়নি।
প্রসঙ্গত, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবশেষ ম্যাচ আগামী ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।