আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরেছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচ হারে চাপে পড়ে যান বাবর আজমরা। পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও হারতে হয় পাকিস্তানকে। ব্যাটারদের ব্যর্থতাতেই কম রানের লক্ষ্যমাত্রাও তাড়া করতে পারেননি বাবর আজম-রিজওয়ানরা। সে কারণে পাক ক্রিকেটের সাবেকরা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হার মেনে নিতে পারেননি। কারণ সেই ম্যাচ জিতলে পাকিস্তানের সুপার এইটে যাওয়ার রাস্তা মসৃণ হতো, কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে তাদের দেশে ফেরার সম্ভাবনাই বেশি।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে আজম খানকে রাখতে গিয়ে বিস্তর সমালোচনার মুখেই পড়তে হয়েছে সে দেশের নির্বাচকদের। কারণ সর্বশেষ ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আজম খানের সংগ্রহ ৮৪ রান। উইকেটের পেছনেও তার বেশ কয়েকটি ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিস। তাই তার দলে ঢোকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল— একান্তই মঈন খানের ছেলে বলেই তাকে দলের নেওয়া হয়েছে কিনা— এমন পরিস্থিতিতে হাফিজের বিস্ফোরক মন্তব্য পাক নির্বাচকদের আরও বিড়ম্বনায় ফেলেছে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
সাবেক পাক অধিনায়ক তথা সাবেক টিম ডিরেক্টর মোহাম্মদ হাফিজ এক হাত নিলেন দলের উইকেটরক্ষক-কাম-ব্যাটার আজম খানের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, আজম খান কথা বললেও শোনেন না। ফিটনেসের ধারেকাছেও নেই সে। বাকিদের থেকে অনেক ধীরে দৌড়ায়, এমনকি কোচ-ডিরেক্টরের দেওয়া নির্দেশনাও মানে না সে।
তিনি বলেন, অন্যরা যদি ২ কিলোমিটার দৌড়াতে সময় নেয় ১০ মিনিট, সে নেয় ২০ মিনিট। তবু নিজের ফিটনেসের দিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল দেয় না সে।
মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, ‘আমি প্রথমবার ওকে দেখেই বলেছিলাম— ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দাও, দ্রুত শরীরের মেদ কমাও। এ রকম শরীর নিয়ে খেলা অসম্ভব। আর দ্বিতীয়ত সুযোগ পেলেই তোমায় পারফর্ম করতে হবে। ফিটনেসে জোর দাও, না হলে ফিল্ডিং ভালো করতে পারবে না। ওর ট্রেনারকে সব বুঝিয়ে বলে দি— কীভাবে তাকে ট্রেনিং দিয়ে ফিট করতে হবে। ছয় সপ্তাহ ট্রেনিং শেষে ওকে যখন দেখি, একই রকম শরীর রয়েছে। এক ফোটাও মেদ ঝরায়নি। তাকে যখন প্রশ্ন করলাম যে, কেন ঠিকমতো ফিটনেস ট্রেনিং করোনি? কোনো জবাব দেয়নি আজম খান। শুধু বলল— চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাও ফিট হতে পারেনি। এটা যে চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব তা জানিয়েছেন হাফিজ।