বাংলাদেশ দলের সেরা তো বটেই; সাকিব আল হাসান বিশ্বেরই অন্যতম সেরা তারকা। ভারতের মাটির ২০২৩ বিশ্বকাপটাও খেলতে নেমেছেন ওয়ানডের এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবেই। সেই সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাসছে না, বলেও নেই সেই চিরচেনা ঘূর্ণি। তাতে সমালোচনা হচ্ছে তাকে ঘিরে। টাইগার ভক্তরা চান সাকিবের ব্যাট হাসুক, বলে উঠুক ঘূর্ণিঝড়, তার হাত ধরেই বিশ্বমঞ্চে মিলুক সফলতা।
তবে টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে সাকিবের অবনমন নিশ্চিত করে, ক্রিকেটের কোনো ফরম্যাটেই তিনি আর বিশ্ব সেরা নন। তাতে টাইগার ভক্তদের হৃদয়ও ভেঙেছে। প্রিয় তারকা স্থানচ্যুত হওয়ায় তাদের মনে আঘাত লেগেছে খুব। বিষাদের মেঘ জমেছে প্রত্যাশার আকাশে।
সাকিব আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শেষ ফিফটির দেখা পেয়েছেন ১৯ ইনিংস আগে। তিন সংস্করণ মিলিয়ে গত বছর ৬ নভেম্বর শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষবার ফিফটির দেখা পান সাকিব। গত মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচ, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে একই সংস্করণের সিরিজে তিন ম্যাচ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ, এই সাত ম্যাচে সাকিব করেছেন মাত্র ৬৯ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বল হাতেও নিষ্প্রভ সাকিব। শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচে সাকিব বোলিং করেছেন মাত্র ৪ ওভার। উপরন্তু উইকেট পাননি কোনো ম্যাচেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তো সাকিব বল করেছেন মাত্র ১ ওভার।
তথাপি, সাকিব ফুরিয়ে গেছেন- একথা মানতে নারাজ ক্রিকেট ভক্তরা। তারা প্রত্যাশায় আছেন- ফের জ্বলে উঠবেন সাকিব। পুরনো কথাও তেমনই আভাস দেয়। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই ঘুরে দাঁড়ান এই অলরাউন্ডার।
যে সমীকরণে সুপার এইটে যেতে পারেন টাইগাররা
‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। আজ সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে নাজমুল হোসাইন শান্তর দল। আর আগামী রোববার নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটিও সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেল স্টেডিয়ামে।
সুপার এইটের টিকেট নিশ্চিত করতে এই দুই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। এই ম্যাচ দুটি সাকিবের জন্যও আশীর্বাদ হয়ে ফিরতে পারে। কারণ সহজ প্রতিপক্ষকে কাজে লাগিয়ে ফর্মে ফিরতে পারেন এই অলরাউন্ডার। আর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ভালো খেলার নজিরও আছে সাকিবের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ সাকিবের রান করার নজির ভালো। এখানে ৭ ম্যাচে ৭ ইনিংস ব্যাটিংয়ে নেমে ২১৩ রান করেছেন সাকিব। ৩৫.৫০ গড়ে তার স্ট্রাইকরেট ১৩৭.৪১।
অন্যদিকে ৭ ম্যাচে ৬ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬.৬৯ করে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে মোট ৩০ ম্যাচে ৩৩ ইনিংসে বোলিং করে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
এছাড়া ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) সাকিব ৩৬ ম্যাচে ৩৪ ইনিংসে নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই সিপিএলে ৬ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। সিপিএলে ব্যাটিংয়ে ৩১ ইনিংসে করেছেন ৪৪৮ রান।