বাবর আজম ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিশ্বকাপের শুরুতেই কোণঠাসা পাকিস্তান দল। তার ওপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে এখন টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পড়ার শংকায় দলটি। এমন আবহে বাবর আজম এবং শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে পুরোনো গুঞ্জন উসকে দিয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
দুই শীর্ষ ক্রিকেটারের বিরোধ নিয়ে একরকম বোমা ফাটিয়েছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। তার দাবি, কোনো প্রয়োজন ছাড়া দলের ক্রিকেটাররা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না। তবে আকরামের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন পাকিস্তানের সহকারী কোচ আজহার মাহমুদ।
ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে আলাপে আকরাম মন্তব্য করেছেন, যে সব ক্রিকেটার দলের জন্য লড়াই করে না, ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য ক্রিকেট খেলে, তাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। বাবর-শাহিনের নাম না উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আর আপনি দেশের হয়ে খেলছেন। এ ধরনের খেলোয়াড়দের দেশে বসিয়ে রাখুন।’
তার এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পাকিস্তানের সহকারী কোচ আজহার মাহমুদ। তার দাবি, আকরাম যে মন্তব্য করেছেন তার কোনো ভিত্তি নেই।
পাকিস্তান আজ তৃতীয় ম্যাচে খেলবে কানাডার বিপক্ষে। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে আজহার বলেন, ‘ওয়াসিমের নিশ্চয়ই এটা বলা উচিত, (বিরোধ নিয়ে) আমি জানি না। আমি দেখিনি।’
বাবর-শাহিনের দ্বৈরথ উড়িয়ে দিয়ে আজহার আরও বলেন, ‘শাহিন ও বাবর অবশ্যই কথা বলছে, তারা ভালো বন্ধু। তারা দুজনই পাকিস্তান দলের অংশ।’
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাজেভাবে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেননি পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটার।এমনকি ভারত ম্যাচের পরও কোনো ক্রিকেটারকে সংবাদ সম্মেলনে পাঠায়নি পাকিস্তান টিম ম্যানেজম্যান্ট। অনেকের দাবি, হারের কারণ নিয়ে জবাবদিহিতার মুখোমুখি থেকে বাঁচাতেই ক্রিকেটারদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে পাকিস্তান। তবে আজহার এটিও উড়িয়ে দিলেন।
‘এখন আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন এই হারের দায়ভার কে নেবে– আমি মনে করি টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে আমরা সবাই দায়িত্ব নেব। আমরা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির কারণে হারিনি। এটাও আমাদের ভুল ধারণা। আমরা কোনো খেলোয়াড়কে লুকিয়ে রাখছি না, সবাই আছে। স্পষ্টতই, আমরা এখানে আছি এবং এটি আমাদের দায়িত্ব। আমরা কোথাও লুকাচ্ছি না। গতকাল, গ্যারি কারস্টেন এখানে ছিল (সংবাদ সম্মেলনে)। এটা এমন নয় যে আমরা নির্দিষ্ট করে কোনো খেলোয়াড়কে লুকিয়ে রাখছি। তারা সবাই আমাদের অংশ।’