ছবি: বিসিবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশকে অনেকে সুপার এইটের হিসাবেই রাখেননি। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের ফর্ম এবং বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারে বাংলাদেশকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা।
তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাংলাদেশ। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে চোখের পলকেই নিজেদের নিয়ে এসেছে সুপার এইটের হিসাবে।
পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলেন হৃদয়-মাহমুদউল্লাহরা। তবে ভাগ্যের ফেরে ৪ রানের হার হজম করতে হয়েছে তাদের। এই হারের পরও অবশ্য সুপার এইটের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
গ্রুপের তুলনামূলক শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। বাকি দুই ম্যাচ সহযোগী দুই দেশ নেদারল্যান্ডস এবং নেপালের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচ জিতলে আর কোন হিসাব-নিকাশের ধার ধারতে হবে না বাংলাদেশকে, সরাসরি সুপার এইটে পৌঁছে যাবে দল।
কোন আইনের কারণে জয় হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের
তবে যদি এই দুই ম্যাচের একটিতে বাংলাদেশকে চমকে দেয় নেদারল্যান্ডস বা নেপালের কেউ, তাহলে শান্তদের সুপার এইটের পথ কিছুটা হলেও বন্ধুর হবে। তখন গ্রুপের অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
আর যদি নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল দুই দলের কাছেই হেরে যায় বাংলাদেশ, তাহলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে।
গ্রুপ ‘ডি’তে দুই ম্যাচ খেলে দুই পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ এখন অবস্থান করছে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। তিন ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পরের ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ১৩ জুন কিংসটনের আরনস ভেল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে এই ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ এশিয়ার দল নেপাল। ১৭ জুন ভোর সাড়ে ৫টায় একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ।