ছবি: বিসিবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশ ইনিংসে ১৭তম ওভারে আইসিসির ‘অদ্ভুত’ ডেড বল নিয়মের কারণে ঠিক ৪ রান বঞ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ। যদি সে ৪ রান বাংলাদেশের স্কোরে যুক্ত হত, তাহলে ফলাফল ভিন্ন হলেও হতে পারত। ম্যাচের পর তাই ক্রিকেটবোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও সেই ৪ রানের আক্ষেপ করছেন।
ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে, আইসিসির কোন আইনের বলে বাংলাদেশ ১৭তম ওভারে চারটি রান পেল না। সে আইন জেনে নেওয়ার আগে একবার ৪ রানের সে ঘটনাটা মনে করা যাক।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্ট্রাইকে ছিলেন, প্রোটিয়া পেসার ওটনিল বার্টমানের বল তার পায়ে লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। যেহেতু বল মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগেছিল, তাই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা লেগ বিফোর আউটের জোরালো আবেদন করেন। সে আবেদনে মাঠের আম্পায়ার সাড়া দিলে রিভিউ নেন মাহমুদউল্লাহ। রিভিউতে দেখা যায় বল স্টাম্প মিস করত। সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
কিন্তু একরাশ আক্ষেপ সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। কারণ এমসিসির আইনের ২০.১.১.৩ ধারায় বলা আছে, মাঠের আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর যদি কোনো খেলোয়াড় রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান, সেক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলটি ডেড হয়ে যাবে। অর্থাৎ সে বলে হওয়া কোনো রান ব্যাটিং দলের স্কোরে যোগ হবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোগার পর আইনটি নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন তাওহিদ হৃদয় ও তামিম ইকবাল। এছাড়া ভারতীয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, সাইমন ডুলসহ আরও অনেকে আইসিসির এই নিয়ম নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সোমবার (১০ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৩ রানে থামে তারা। কিন্তু মামুলি সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ৭ উইকেটে ১০৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
আগামী ১৩ জুন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় কিংসটনের আরনস ভেল স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।