টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে গতকাল রোববার নিউইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারায় ভারত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান হেরে যায় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে। টানা দুই ম্যাচে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে গেছে পাকিস্তান।
নিজেদের পরের দুই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি রান রেটে এগিয়ে থেকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়ে তাকিয়ে থাকতে হবে বাবর আজমদের। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজেদের পরের দুই ম্যাচে হেরে যায়।
অন্যদিকে পাকিস্তান নিজেদের পরের দুই ম্যাচে যদি জয় পায়; তখন ভারত-পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের পয়েন্ট সমান ৪ করে হবে। তখন রান রেটে যারা এগিয়ে থাকবে তারা চলে যাবে সুপার এইটে।
এই কঠিন সমীকরণে ভাগ্য ফেবার করলে ফের ভারত-পাকিস্তানের দেখা হতে পারে। তা না হলে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে দেখা হবে ভারত-পাকিস্তানের।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কে কোন মাঠে খেলবে তার একটা খসড়া তালিকা আইসিসিকে দিয়েছে আয়োজক দেশ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে জানানো হয়েছে, লিগ পর্যায়ে একেবারে শেষ ম্যাচে খেলবে ভারত-পাকিস্তান। লাহোরে হবে সেই খেলা।
১৫ দলের এই প্রতিযোগিতা লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তার মধ্যে সাতটি ম্যাচ লাহোরে, পাঁচটি ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে ও তিনটি হবে করাচিতে।
ভারতের সব ম্যাচ লাহোরে করার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০ দিন ধরে চলবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে প্রতিযোগিতা। চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। করাচিতে হবে উদ্বোধনী ম্যাচ। দুটি সেমিফাইনাল হবে করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। ফাইনাল হবে লাহোরে। এখনো এই সূচি চূড়ান্ত হয়নি। আইসিসি খসড়া প্রস্তাব মেনে নিলে তবেই সূচি ঘোষণা হবে।
তবে ভারতের খেলা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। গত বছর পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যায়নি ভারতীয় ক্রিকেট দল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আবেদনের পরে পাকিস্তানের পাশাপাশি শ্রীলংকাতে হয় এশিয়া কাপ।
ভারতের সব ম্যাচ শ্রীলংকায় হয়েছিল। ফাইনালও হয় সেখানে। তবে এবার যাতে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া নিয়ে ভারত কোনো সমস্যা করতে না পারে, সেই পথে এগোচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কোনোরকম হাইব্রিড মডেল মানতে চাইছে না তারা। এখন দেখার বিষয় ভারতকে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে খেলতে যেতে হয়, নাকি এশিয়া কাপের মতো আবার সূচি বদলে যায়।