বাবর আজম
ইতোমধ্যে আইসিসির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপের শুরুতে অঘটনের শিকার পাকিস্তান। আর এ বড় অঘটন ঘটাল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার রাতে বাবর আজ়মদের হারিয়েছে তারা। পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারিয়ে নায়ক বনে যান ক্রিকেটার কাম ইঞ্জিনিয়ার নেত্রভালকর। আর এ পরাজয়ের দায় শাদাব খানের ওপর চাপালেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন বলছে, বাবর আজম যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৪৩ বলে করেন ৪৪ রান। এ ধীরগতির ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টিতে বেমানান, তা ভালো ইনিংস নয়। আর শাদাব খান ব্যাট হাতে করেন ২৫ বলে ৪০ রান। কিন্তু ম্যাচ হারতেই সেই শাদাবের ঘাড়েই দায় চাপালেন বাবর আজম।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নবাগত যুক্তরাষ্ট্র দলের বিপক্ষে হেরে গেলেন বাবর আজম, শাহিন আফ্রিদিরা। এত তারকাখচিত বোলিং লাইনআপ থাকা সত্ত্বেও ম্যাচ জিততে পারল না পাকিস্তান। অবশ্য বোলারদের থেকে ব্যাটারদের ব্যর্থতাই এ ক্ষেত্রে বেশি ছিল। পিচ বুঝতে না পেরে ২৬ রানেই টপঅর্ডারের তিন ব্যাটার— রিজওয়ান, উসমান ও ফখর জামান সাজঘরে ফিরে যান। অধিনায়ক বাবর আজম করেন ৪৩ বলে ৪৪ রান, যা টি-টোয়েন্টির সঙ্গে বেমানান বটে।
অন্যদিকে মিডল অর্ডারে নেমে দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন শাদাব খান। তিনি ২৫ বলে ৪০ রান করেন। অথচ ম্যাচ হারতেই, সেই শাদাব খানের ওপরেই দায় চাপালেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। বললেন স্পিনারদের জন্যই ম্যাচ হারতে হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারের পর অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে পাক অধিনায়ক বাবর আজমের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল— জাসপ্রিত বুমরাহ ও নাসিম শাহের মধ্যে বাছতে দেওয়া হলে স্লগ ওভারে কাকে নেবেন তিনি। বাবর উত্তর দিয়েছিলেন নাসিম শাহের নাম। অথচ মার্কিনিদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সময় সেই নাসিমের ওপর ভরসা না রেখে মোহাম্মদ আমিরের হাতে তুলে দেন বল। আমির সুপার ওভারে গিয়ে দিলেন তিনটি ওয়াইড। অথচ ম্যাচ হারের পর নিজের সিদ্ধান্তের জন্য আত্মসমালোচনা না করে স্পিনারের দিকেই নাম না করে আঙুল তোলেন পাক অধিনায়ক।
শাদাব খান ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ইফতিখার এক ওভারে বিনা উইকেটে ১০ রান দেন। ১৫৯ রান ডিফেন্ড করতে নেমে স্পিনাররা উইকেট না পাওয়াতেই ম্যাচ হারতে হয়েছে— এমন কথা বললেন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাবর আজম। তিনি বলেন, ‘ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৬ ওভারে আমরা ভালো খেলতে পারিনি, পরপর উইকেট হারানোয় ব্যাকফুটে চলে যায় দল। আর মাঝের ওভারে আমাদের স্পিনাররা উইকেট নিতে পারেনি। তাই সেটিও ম্যাচ হারের অন্যতম কারণ।
যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল ম্যাচশেষে বলেছেন, ‘যেভাবে আমরা টস জেতার পর প্রথম ৬ ওভারে বোলিং করে ওদের ব্যাটারদের চুপ করিয়ে রেখেছিলাম, সেটি বড় ব্যাপার। ১৬০ রান টার্গেট হওয়ায় আমরা জানতাম ম্যাচ আমাদের হাতেই রয়েছে, শুধু একটা পার্টনারশিপ দরকার। সাধারণত টি২০ বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে আমরা সচরাচর খেলার সুযোগ পাই না। তাই প্রথম বল থেকেই দলের প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।