শরিফুল ইসলাম, ডানে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে চোট সমস্যায় আরও বাড়ল বাংলাদেশের সংকট। তাসকিন আহমেদের পর এবার শঙ্কায় শরিফুল ইসলাম। বাম হাতের চোটে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে অনিশ্চিতই বলা যায় তরুণ বাঁহাতি পেসারকে।
পাজরের পাশের চোট সঙ্গে নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে গেছেন তাসকিন আহমেদ। এখনও সুস্থ না হওয়ায় টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারতের বিপক্ষে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে নামতে পারেননি তিনি। ওই ম্যাচে পাওয়া চোটে এখন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে শরিফুলকে ঘিরে।
বাংলাদেশকে নিয়ে আশঙ্কাজনক ভবিষ্যদ্বাণী গিলক্রিস্টের
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার ভারতের ইনিংসের শেষ ওভারে বাম হাতে চোট পান শরিফুল। হার্দিক পান্ডিয়ার জোরাল শট থামাতে হাত এগিয়ে দেন তিনি। তাতেই সর্বনাশ!
ব্যথায় কাতড়াতে কাতড়াতে মাঠ ছেড়ে যেতে হয় শরিফুলকে। হাত থেকে রক্ত ঝরতেও দেখা যায়। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানান, হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে শরিফুলকে। তাৎক্ষণিকভাবে আর কিছু বলতে পারেননি তিনি।
বিসিবির দেওয়া ভিডিওতে রোববার সকালে শরিফুলের চোটের সবশেষ অবস্থা জানালেন দলের সঙ্গে থাকা চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি।
উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে হারাল যুক্তরাষ্ট্র
‘ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বল ঠেকাতে গিয়ে বাম হাতের তর্জনী ও মধ্যমার সংযোগস্থলে চোট পান শরিফুল। মাঠে তাৎক্ষণিক পরিচর্যার পর তাকে নিকটস্থ নাসাউ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।’
‘হাতের সার্জনের তত্ত্বাবধানে তার হাতে একটি ছোট সার্জারি করা হয়। হাতে ৬টি সেলাই করা হয়েছে। দুই দিন পরে ড্রেসিং পাল্টানোর জন্য আমরা আবার সার্জনের কাছে যাব। তখন বুঝতে পারব মাঠে ফেরার জন্য কতদিন সময় লাগতে পারে।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ শ্রীলংকার বিপক্ষে শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায়। অলৌকিক কিছু না ঘটলে ওই ম্যাচে শরিফুলকে পাওয়া যাবে না বলে দেওয়া যায়। এমনকি আগামী সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরেও অনিশ্চয়তা থেকেই যায়।
শরিফুলের মতোই অনিশ্চয়তা তাসকিনকে ঘিরেও। সব কিছু ঠিক থাকলে বুধবার পূর্ণ রান আপে বোলিংয়ে ফেরার কথা অভিজ্ঞ পেসারের। এরপর সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ম্যাচ খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত।
তাই বিশ্বকাপ শুরুর আগে দলের দুই মূল পেসারকে নিয়ে চিন্তায় থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ভ্রমণসঙ্গী রিজার্ভ হিসেবে অবশ্য আরেক পেসার হাসান মাহমুদকেও দলের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মূল স্কোয়াডে ঢুকে যেতে পারেন তিনি।