ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসান। ছবি-সংগৃহীত
বলা হয়ে থাকে ক্রিকেট গোল বলের খেলা। আগাম ঘোষণা দিয়ে ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করা সম্ভব নয়। হয়তো ভাগ্য ফেবারে থাকলে এবং নিজেদের মধ্যে ভালো করার চেতনা থাকলে আশা করা যায় ভালো কিছু হবে। কিন্তু নিশ্চিত করে বলা কঠিন যে আপনি মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি বা হ্যাটট্রিক করবেন।
আর এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাও সহজ ব্যাপার নয়। কখন ফর্ম খুব ভালো থাকবে, কখন খারাপ যাবে এটাই স্বাভাবিক। এটা মেনে নিতেই হবে।
কিন্তু আমাদের সমর্থকরা এটা মানতে নারাজ। তারা সাকিব-তামিমের মতো তারকা ক্রিকেটারদের কাছে প্রতিদিন সেরা পারফরম্যান্স আশা করেন। আর যখন তাদের আশাতীত পারফরম্যান্স না হয় তখন ওই ক্রিকেটার সাকিব নাকি তাসকিন, এটা বিবেচনা না করেই সমালোচনায় মাতেন।
সেই সমালোচনা মাঝে মধ্যে এতটা তীক্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন ক্রিকেটাররা আর মানসিকভাবে নিতে পারেন না। আরে ভাই আপনাকে নিয়ে যদি প্রতিনিয়ত সমালোচনা হয়- এটার প্রভাব আপনার এবং আপনার পরিবারের ওপর পড়বেই।
ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনা করা প্রসঙ্গে জাতীয় দলে সাবেক হয়ে যাওয়া ইমরুল কায়েস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এখন যেটা হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থকরা একজন ক্রিকেটারকে আক্রমণ করছে। এই জিনিসগুলো করা মানে নিজেদের ক্ষতি করা। জাতীয় দলে একটা ছেলে অনেক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আসে। এক রাতেই সে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যায় না।
দেশের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলে ১৩১ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৭টি সেঞ্চুরি আর ২০টি ফিফটির সাহায্যে ৪ হাজার ৩৫০ রান করা ইমরুল আরও বলেন, আপনি সাকিবের মতো ক্রিকেটারকে নিয়ে যখন ট্রল করছেন, তখন এখানে আমার মতো কিংবা তরুণ ক্রিকেটারদের অস্তিত্বটা কোথায় থাকে? সাকিবকে ছোট করা মানে দেশকে ছোট করা, জাতিকে ছোট করা। জাতীয় দলের ক্রিকেটার সব সময়ই দেশের সম্পদ। আমি সম্পদকে নষ্ট করার জন্যই ট্রল করছি! এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত। এই ট্রলের কারণেই আমাদের ক্রিকেটাররা ধারাবাহিক খেলতে পারছেন না।