সাত বছর পর আসর বসছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। তবে পাকিস্তানের মাটিতে নির্বিঘ্নে টুর্নামেন্টটি হতে পারবে কি না তা নিয়ে এখনই শঙ্কা কাটছে না। কারণ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মাটিতে খেলতে যাওয়া নিয়ে এখনও নারাজি দিয়ে যাচ্ছে ভারত। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে এতদিন প্রকাশ্য কোনো মন্তব্য আসেনি। এবার প্রথম মুখ খুললেন বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লা।
দেশটির সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়া প্রসঙ্গে আমরা একটা কথাই বলতে পারি, সরকার যা বলবে আমরা তাই করব। সরকার অনুমতি দিলে অবশ্যই টিম পাঠানো হবে। সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে সরকারের অনুমতির ওপরই।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চাচ্ছে, ভারতীয় দল দেশটিতে খেলতে যাক। ইতোমধ্যে তারা আইসিসির কাছে খসড়া সূচিও দিয়েছে। যেখানে তিনটি ভেন্যু বেছে নিয়ে বাবর আজমের দেশ। এর মধ্যে ভারতের ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহোরে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ভ্রমণ সংক্রান্ত নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়ানো এবং ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি শহরটির অবস্থান হওয়ার দেশটির ক্রিকেট ভক্তদের যাতায়াত সহজ হওয়ার কথা। ওই একই ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের ফাইনালও হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ এশিয়া কাপেও পাকিস্তানে খেলতে যাননি রোহিত শর্মারা। তাদের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ফেলতে এশিয়া কাপের অধিকাংশ খেলা হাইব্রিড মডেল মেনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে আয়োজন করা হয়। এবার ওই মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও আয়োজনের দাবি বিসিসিআইয়ের। এক কর্মকর্তার বরাতে কিছুদিন আগে ভারতের আরেক সংবাদসংস্থা এমন তথ্য জানিয়েছিল। ২০০৮ সালে এশিয়া কাপ খেলতে সবশেষ পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারত।
পরবর্তীতে ভারত-পাকিস্তান শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছে ২০১২-২০১৩ মৌসুমে। ভারতের মাটিতে সেই সিরিজ খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তান। কয়েক মাস আগেই আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছে ভারতে। সেখানেও বাবররা খেলে এসেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক বৈরিতার বিষয় সামনে এনে পাকিস্তানে গিয়ে খেলার বিষয়ে বারবার নিজেদের অনীহার কথা জানিয়ে আসছে বিসিসিআই। এবারও তারা শর্ত হিসেবে ভারতীয় সরকারের অনুমতি পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে।
উল্লেখ্য, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে আয়োজনের পরিকল্পনা জানিয়েছে পিসিবি। সে কারণে দেশটির ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট পিএসএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা অনুষ্ঠিত হবে ৭ এপ্রিল থেকে ২০ মে’র মধ্যে। ফলে আগামী বছর একই সময়ে আয়োজনের মাধ্যমে সংঘর্ষ হতে পারে আইপিএল-পিএসএলের। সাধারণত এপ্রিলের দিকে প্রতি বছর আইপিএলের আসর বসে।