বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ (বামে)
বার্সেলোনার গোলকিপার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন ও কোচ জাভি হার্নান্দেজ লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাকে অস্বস্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন। রোববার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সেলোনার একটি সম্ভাব্য গোল প্রযুক্তির অভাবে নির্ণয় করা যায়নি।
শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর বার্সা কোচ বলেছেন, অবিচারের শিকার হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে তার। লা লিগাকে বিশ্বসেরা লিগ হতে হলে গোললাইন প্রযুক্তি যুক্ত করতেই হবে।
শেষ হতে চলা ২০২৩-২৪ মৌসুমে বার্সেলোনার পাওয়ার নেই তেমন কিছুই। স্প্যানিশ সুপার কাপ, কোপা দেল রে, চ্যাম্পিয়নস লিগ- সব আসর থেকেই খালি হাতে ফিরেছে জাভির দল। লা লিগায়ও ট্রফির দৌড়ে পিছিয়ে অনেকখানি। এর মধ্যে বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে পারলে সমর্থকদের জন্য কিছুটা সান্ত্বনা হয়তো হতো! ম্যাচে দুই দফা এগিয়েও যায় বার্সা। কিন্তু জুড বেলিংহামের যোগ করা সময়ের গোলে হেরে গেছে বার্সা।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে কর্নার থেকে লামিনে ইয়ামালের টোকা কোনোমতে ঠেকান রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার আন্দ্রে লুনিন। ক্যামেরার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল দেখেও ঠিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলটি গোললাইন পেরিয়েছে কি না। যে কারণে গোলও দেওয়া হয়নি।
ম্যাচ শেষে গোললাইন প্রযুক্তি না থাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বার্সা গোলকিপার টের স্টেগেন, গোললাইনে কী ঘটেছে, বলার ভাষা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। এটা ফুটবলের জন্যই অস্বস্তিকর। এখানে এত টাকা, কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটার জন্যই নেই। আমি বুঝতে পারছি না, যে প্রযুক্তি অন্যান্য লিগে আছে, আমরা কেন সেটা নিতে পারছি না।
টের স্টেগেনের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন কোচ জাভিও, আমি ওর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাটা অস্বস্তিকর। আমরা যদি এটিকে বিশ্বসেরা লিগে পরিণত করতে চাই, তাহলে এটা লাগবেই।
সংবাদ সম্মেলনে গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাকে নিজেদের জন্য অবিচার বলেও মন্তব্য করেন বার্সা কোচ, ‘সবাই দেখেছে, কী হয়েছে। আমি আর কী বলব? লিগ কর্তৃপক্ষ আমাকে শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু ছবি তো আছে। আজ মনে হচ্ছে, আমরা পুরোপুরি অবিচারের শিকার হয়েছি। আমি ম্যাচের আগে বলেছিলাম, আশা করি রেফারিং নিয়ে ভাবতে হবে না এবং তিনি সঠিক সিদ্ধান্তই দেবেন। কিন্তু দিন শেষে কোনোটাই ঘটেনি।’
জাভির সংবাদ সম্মেলনের আগেই অবশ্য লা লিগার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস লোগলাইন প্রযুক্তি না থাকা নিয়ে নিজের যুক্তি দিয়ে রেখেছেন। ইয়ামালের গোলটি না হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে লা লিগা প্রধান এক্সে একটি পোস্ট দেন, যেখানে ছিল কিছু সংবাদের শিরোনামের স্ক্রিনশট। ওই সংবাদগুলো ছিল গোললাইন প্রযুক্তির ভুল নিয়ে। ক্যাপশনে লেখা—‘নো কমেন্টস’।
এল ক্লাসিকো জিতে রিয়াল মাদ্রিদ এখন বার্সেলোনার চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে। লিগে মাত্র ৬ ম্যাচ বাকি থাকায় ট্রফি জয় এখন সময়ের ব্যাপার মাদ্রিদের জন্য। বার্সা কোচ আগাম অভিনন্দনই জানিয়ে রেখেছেন রিয়ালকে, ‘লা লিগা ৩৮ ম্যাচের লম্বা পথ। রিয়াল মাদ্রিদকে অভিনন্দন জানাতেই হয়। পুরো মৌসুমে তারা মাত্র একটা ম্যাচ হেরেছে। ট্রফির হিসাব-নিকাশ কার্যত এখানেই শেষ।’