বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দৌড়ে ‘জিতলে স্বর্ণ নাকি ব্রোঞ্জ’
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
একটা সময়ে দেশের ক্রিকেটে তীর্থস্থান ছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি এই মাঠে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ (বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে) খেলে টাইগাররা।
২০০৬ সাল থেকে দেশের ক্রিকেটের হোম ভেন্যু হয়ে যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। যে কারণে এই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম অচেনা।
আজ সকালে সেই অতীতেই যেন ফিরে গেলেন বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের একঝাঁক ক্রিকেটার। জাতীয় দলের হয়ে এখনো যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন তাদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বঙ্গবন্ধুতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালেরও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গিয়ে এদিক-ওদিক তাকিয়ে স্মৃতিচারণা করে নাফীস বলেন, ‘সবকিছুই দেখি বদলে গেছে।’
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘কী স্টেডিয়াম রে ভাই! এই গেটটা তো বন্ধ করে রাখতে হতো খেলার সময়। কী মনে নাই ভাই, কী মনে নাই?’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশ দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়কা শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘১৯৯৪ সালে প্রথম এই মাঠে আসি আমি। অনেক আইকন ক্রিকেটার এখানে খেলতেন। তাঁদের দেখতে মাঠে আসতাম। ২০০৪ সালে আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এ মাঠে খেলেছি, ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলাম। তখন হয়তো বুঝিনি। কিন্তু এখন বুঝি সেই ইনিংসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রত্যেকটা ইঞ্চি ইতিহাস বহন করে। আমাদের প্রজন্মের খেলোয়াড়, শুধু ক্রিকেটার নয়, অন্য খেলার খেলোয়াড়েরাও এ কথা বলবে।’
তিনি জানান, ‘যারা একদম নতুন প্রজন্ম, তারা হয়তো এখানে খেলেনি। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। অনেকের জন্ম ২০০০ সালের আশপাশে। তাদের খেলার কথাও নয়। তবে আইকনিক স্টেডিয়াম যেহেতু, এটার গল্প নিশ্চয়ই শুনেছে। দেখুন, সাধারণত সকাল ছয়টায় ফিটনেস টেস্ট দেখতে এত মানুষের আশার কথা নয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, তাই এসেছে। সবার জন্যই দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তার সঙ্গে খুনসুটি করে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘পতাকা কই? পতাকা আনবেন না!’ জিতলে স্বর্ণ নাকি ব্রোঞ্জ দেওয়া হবে, ব্রোঞ্জ কেন হবে? আপনাদের লক্ষ্যই ছোট। স্বর্ণ জিতব ইনশা আল্লাহ (হাসি)।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এখন ফুটবলের পাশাপাশি জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় হয়। অ্যাথলেটদের মতো আজ যদি
পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকত তাহলে দৌড়ে সোনা জিততেন তানজিম হাসান ও নাহিদ রানা। দুই দলে ভাগ হয়ে ১৬০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন এই দুই পেস বোলার।