রেস্ট ইন পিস পাকিস্তান ডমেস্টিক ক্রিকেট। ছোট্ট এক টুইটে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ। অবশেষে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক খোলাসা করলেন, নিউজিল্যান্ড সফরের দল ঘোষণার পর কেন দিয়েছিলেন এই রহস্যময় স্ট্যাটাস।
মূলত ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরকে দলে ফেরানো নিয়েই যত আপত্তি হাফিজের। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে চাওয়া উসমান খানকে পাকিস্তান দলে নেওয়া নিয়েও আছে আপত্তি।
মাস কয়েক আগে হাফিজ পেয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেট ঢেলে সাজানোর দায়িত্ব। সেই সময় তিনি যে দর্শন নিয়ে কাজ করেছিলেন, বর্তমানে পিসিবি, টিম ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচক প্যানেল- কেউ-ই সেই পথ অনুসরণ করছে না।
হাফিজ বলেন, আমির ও ইমাদ অনেক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছে না, তাদের দলে ফেরানো হলো। আমির তো ৩-৪ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে না, এমনকি অবসরও নিয়ে ফেলল। ইমাদ ঘরোয়া ক্রিকেট বাদ দিয়ে বসে বসে টিভি দেখত। তাকে যখন জিজ্ঞেস করলাম, বলল— সে আর পাকিস্তানের হয়ে খেলতে চায় না। কারণ অনেক কিছু নিয়ে তার সমস্যা আছে। আমি তাকে বললাম যা হওয়ার হয়েছে, আমরা দেখব এবার তুমি আসো। বলল না, সে শুধু লিগ খেলতে চায়। তাকেও ফেরানো হলো।’
উসমান খান অভিমানে আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এমনকি পিএসএলেও খেলেন আরব আমিরাতের ক্রিকেটার হিসেবে। তিনি ভালো করায় হুট করে তাকে পাকিস্তান জাতীয় দলে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলোয়াড়দের সঙ্গে অবিচার বলে মনে করেন হাফিজ।
তিনি বলেন, উসমানের মেধার প্রতি আমার সম্মান আছে, কিন্তু সে তো আর পাকিস্তানের সিস্টেমে নেই। তা হলে ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা দিন-রাত পরিশ্রম করছে, তাদের আপনি কীভাবে অনুপ্রাণিত করবেন? আপনার দল বাছাই প্রক্রিয়া তো ঘরোয়া ক্রিকেটকে ভিত্তি করে হলো না। আমি এ জন্যই এই টুইট করেছিলাম। তারা ঘরোয়া ক্রিকেটকে মেরে ফেলেছে।
শুধু তাই নয়, শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে বাবর আজমকে আবারও দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়ারও সমালোচনা করেছেন হাফিজ। তার ভাষায়, দুই মাসেই এমন কি ভুল করল শাহিন যে বাবরকেই ফেরাতে হলো? এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে। এগুলো ক্ষতিকর, কোনো লাভ নেই এর পেছনে। এসব সিদ্ধান্ত দলে কোন্দল তৈরি করে।