ঘরের মাঠে ধরাশায়ী লিভারপুল
ট্রেবল জিতে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল ছাড়ার স্বপ্ন হয়তো ভেঙেই গেল। ইউরোপা লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বৃহস্পতিবার আটালান্টর কাছে ৩-০ গোলে হেরে গেছে তার দল। তাও আবার নিজ মাঠে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই শিরোপা প্রত্যাশী আর্সেনাল ও ম্যানসিটির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে লিভারপুলের। সম্প্রতি লিগ কাপ জেতে অলরেডরা। স্বপ্ন ছিল ইউরোপের দ্বিতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ট্রফি জেতার। কিন্তু আগেভাগেই হয়তো বিদায় নিতে হচ্ছে তাদের।
সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা কাগজে কলমে এখনও টিকে আছে। কিন্তু আসলেই কি এই ধাক্কা কাটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকানো সম্ভব? ক্লপ বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, এই খেলা নিয়ে আসলে ইতিবাচক কিছুই বলার নেই। আমি জানি আমরা যদি দুয়েকটি জায়গায় ভালো করি, আমরা আরও ভালো দল হবো। আমরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবো? হ্যাঁ, যদি ভালো খেলি তাহলে সম্ভব। আমরা কি ৩-০ তে জিততে পারবো? আমার কোনও ধারণা নেই। কিন্তু এই অনুভূতি সত্যিই খারাপ এবং এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
জিয়ানলুকা সামাক্কার জোড়া গোলে অ্যানফিল্ডে ধরাশায়ী লিভারপুল। ৩৮ মিনিটে সবার চোখ এড়িয়ে ডেভিড জাপাকোস্তার পাসে বল পেয়ে নিচু শটে গাওমহিন কেলেহারকে পরাস্ত করেন তিনি।
ম্যাচের অবস্থা পাল্টাতে মোহাম্মদ সালাহ, ডমিনিক সোবোসলাই ও অ্যান্ডি রবার্টসনকে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামান ক্লপ। কিন্তু তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নস্যাৎ করে দেন সামাক্কা। চার্লস ডি কেটেলায়েরের ক্রস থেকে ৬০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
খেলা শেষ হওয়ার সাত মিনিট আগে মারিও পাসালিচ লিভারপুলকে আরেকটি গোল দেন।
এক বছরেরও বেশি সময় পর অ্যানফিল্ডে হার দেখল লিভারপুল। গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৫-২ গোলে হারের পর এতদিন অপরাজিত ছিল তারা।
হয়তো অ্যানফিল্ডে এটাই ক্লপের শেষ ইউরোপিয়ান ম্যাচ হতে যাচ্ছে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলো প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে হবে লিভারপুলকে।