দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল এক রান, নিজের সেঞ্চুরির জন্য ছয়। এক শটেই তা করে ফেললেন জস বাটলার! ম্যাচ শেষে রাজস্থান রয়্যালসের এই ইংলিশ ব্যাটার বড় এক স্বীকৃতি পেলেন এক কিংবদন্তির কাছ থেকে।
লংকান গ্রেট ও রাজস্থান রয়্যালসের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট কুমার সাঙ্গাকারা বললেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে বাটলারের চেয়ে ভালো কেউ বিশ্বে নেই।
শনিবার আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচটিতে রাজস্থানের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বেশ আগেই। শেষ দিকে কৌতূহল ছিল শুধু বাটলারের সেঞ্চুরি নিয়ে।
রাজস্থানের জিততে যখন দুই রান প্রয়োজন, বাটলারের শতরানের জন্য তখন লাগে সাত রান! ১৯তম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নেন বাটলার। রাজস্থানের রান তখন বেঙ্গালুরুর সমান, বাটলারের সেঞ্চুরিতে লাগে ছয় রান। ক্যামেরন গ্রিন শেষ ওভারের প্রথম বলটি করেন শর্ট ডেলিভারি।
বাটলার উড়িয়ে দেন পুল শটে। ছক্কা! নিজের শততম আইপিএল ম্যাচটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে রাঙান ৩৩ বছর বয়সি ব্যাটার। চওড়া হাসিতে শূন্যে লাফিয়ে মাইলফলক উদ্যাপন করেন বাটলার। তার উচ্ছ্বাসের কারণ শুধু সেঞ্চুরিই নয়, রানে ফিরতে পারাও।
রাজস্থানের হয়ে মৌসুমের পর মৌসুম অসাধারণ পারফরম্যান্স তার। কিন্তু এবার শুরুটা ভালো করতে পারেননি মোটেও। প্রথম তিন ম্যাচে দল জিতলেও তার রান ছিল ১১, ১১ ও ১৩। অবশেষে দলের টানা চতুর্থ জয়ে তিনিও ফিরে পেলেন নিজেকে।
বাটলারের বড় রানের অপেক্ষায় ছিল তার দলও। তবে ডিরেক্টর অব ক্রিকেট সাঙ্গাকারা বললেন, তাদের ভরসার কমতি ছিল না পরীক্ষিত এই সৈনিকের ওপর।
কারণটাও তিনি ব্যাখ্যা করলেন, ‘সবার সঙ্গেই কখনো না কখনো আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। তবে আলোচনা মানেই সব সময় ক্রিকেট নিয়ে বা টেকনিক নিয়ে কিংবা এই ধরনের কিছু নিয়ে নয়। ফর্মের ব্যাপারটি অনেকটাই হলো আসলে মানসিক অবস্থা। সাদা বলে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ওপেনার জস এবং অনেক বছর ধরেই সেরা সে। সে খুবই স্মার্ট, খুব ভালো করেই জানে কীভাবে কী করতে হয়। আর কখনো কখনো আশপাশের আলোচনা এড়িয়ে তাকে নিজের মতো থাকতে দিতে হয়। জসের ক্ষেত্রে সব কিছুরই ভালো সমন্বয় ছিল আমাদের।’
বিরাট কোহলির ৭২ বলে ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে বেঙ্গালুরু করেছিল ২০ ওভারে ১৮৩ রান। বাটলারের ৫৮ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসে রাজস্থান ছয় উইকেটে জিতে যায় পাঁচ বল বাকি রেখে।