অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটে আবার জমে উঠেছে নতুন নাটক। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন সংস্করণেই পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়েন বাবর আজম।
এরপর শান মাসুদকে টেস্ট ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দেওয়া হয় টি ২০র নেতৃত্ব। কিন্তু মাত্র একটি সিরিজ দেখেই কেড়ে নেওয়া হয়েছে আফ্রিদির নেতৃত্ব।
তাকে সরিয়ে রোববার আবার ওয়ানডে ও টি ২০ দলের অধিনায়ক করা হয়েছে বাবরকে। এভাবে নেতৃত্ব হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ আফ্রিদি। এরপর তার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অথচ, তিনি কিছুই জানেন না!
বাবরকে সমর্থন জানিয়ে তার নামে বানোয়াট বিবৃতি প্রকাশের ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ শাহিন আফ্রিদি পালটা বিবৃতি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করে আপাতত তাকে থামিয়েছে পিসিবি। সোমবার আরেক দফা আফ্রিদির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। নিজেরা ফেঁসে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত পিসিবি।
এর আগে বোর্ডের প্রকাশিত বিবৃতিতে বাবরের পাশে থাকার ঘোষণা দেওয়া হয় আফ্রিদির নামে ‘দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে আমার দায়িত্ব আমাদের অধিনায়ক বাবর আজমের পাশে থাকা। তার নেতৃত্বে আগেও খেলেছি। তার প্রতি আমার সম্মান আছে। আমরা সবাই এক, আমাদের লক্ষ্যও অভিন্ন পাকিস্তানকে বিশ্বের সেরা দল বানানো।’
ব্যাপার হলো, আফ্রিদি এসবের কিছুই বলেননি! নেতৃত্বে পরিবর্তন ঘিরে বিতর্ক থামাতে কথা না বলেই আফ্রিদির নামে এই বিবৃতি চালিয়ে দিয়েছিল পিসিবি। বোর্ডের এমন কাণ্ডে বাবর ও আফ্রিদির সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে সেদেশের ক্রিকেটমহল।