সিলেট টেস্টে প্রথম সেশনটা যদি হয় বাংলাদেশ দলের পেসারদের, তাহলে দ্বিতীয় সেশনটি শ্রীলংকার দুই ব্যাটসম্যান কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার।
স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে তখন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে শ্রীলংকা। আশঙ্কা ছিল দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার। ইনিংসের ১৭ তম ওভারে শরিফুল ইসলামের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে। আরেকটি সফলতা পেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু এবার বল হাতে জমাতে ব্যর্থ হলেন মাহমুদুল হাসান জয়।
নিশ্চিত জীবন পেয়ে পরে দারুণভাবে কাজে লাগালেন কামিন্দু মেন্ডিস। ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এরই মধ্যে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে গড়ে ফেলেছেন দেড়শোর্ধ্ব রানের জুটি। ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করে এখন দৌড়াচ্ছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দিকে। কামিন্দুর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন ডি সিলভাও।
৪৯ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৭ রান তুলে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করেছে শ্রীলংকা। মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া দুজনই অর্ধশত করে অপরাজিত আছেন।
বৃষ্টিস্নাত সিলেটের সবুজ উইকেটে শ্রীলংকাকে প্রথম সেশনে বলতে গেলে দুমড়েমুচড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ২২ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ৯২ রান। টাইগার পেসার খালেদ আহমেদ একাই নেন তিন উইকেট। এ ছাড়া একটি উইকেট পেয়েছেন শরিফুল।
তবে মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজনের ব্যাটে ভর করে ম্যাচে ফিরেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে অভিষিক্ত গতিময় পেসার নাহিদ রানা ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ৮ ওভারে খরচ করেছেন ৫৮ রান।
এর আগে বৃষ্টিভেজা সিলেটের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটা দারুণভাবে কাজে লাগান টাইগার পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নিশান মাদুশকাকে ফেরান। তৃতীয় স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৯ বলে ২ রান করে ফেরেন লঙ্কান এই ওপেনার।