শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়। প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সিরিজে সমতায় ফেরে শ্রীলংকা।
আজ সোমবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্যই অঘোষিত ফাইনালের মতো। জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। হারলে সিরিজ হাতছাড়া।
এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে শ্রীলংকাকে ২৩৫ রানে অলআউট করে টাইগাররা। লংকানদের হয়ে ১০২ বলে ১১টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন জানিত লিয়ানজে। তার কারণেই ১৫৪ রানে ৭ উইকেট হারানো শ্রীলংকা এতদূর যেতে পারে।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩০ রানে প্রথমসারির ৫ ব্যাটসম্যান- এনামুল হক বিজয়, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ৮১ বলে ৮৪ রান করা তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম, রিশাদ হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ বলে ৪৮ রানের জুট গড়েন মুশফিক।
দলীয় ১৭৮ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মিরাজ। তিনি ৪০ বলে তিন চারে ২৫ রান করেন। এরপর রিশাদকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ বলে ৫৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক।
মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন রিশাদ হোসেন। ৩৬ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহমি।
খেলা শেষে ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা প্রসঙ্গে রিশাদ বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। প্রথম অবস্থায় একটু নার্ভাস লাগছিল, পরবর্তীতে যখন ব্যাটে রান আসছিল তখন দারুণ লাগছিল। মুশফিক ভাই বলছিল, তুমি বল পাইলেই মেরে দাও। এটি আমাকে আরও নির্ভার খেলতে সাহায্য করেছে।’