আমার এ পজিশনে থাকার প্রয়োজন কী সেটাও জানি না: সুজন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটি কাজ করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের অধীনে। সেই বিভাগেরই ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন; কিন্তু নির্বাচক কাকে করা হয়েছে তা নিয়ে একদম অন্ধকারে থাকায় এ পদে আর তার থাকার প্রয়োজন আছে কিনা বুঝতে পারছেন না তিনি।
সুজন বলেন, আমি তো পরিষ্কার করলাম- আমি কিছু জানি না। আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান, আমি জানিই না- ক্রিকেট অপারেশন্স সিলেক্টর নিচ্ছে, কে হচ্ছে। খুবই অবাক করার মতো। আমার এ পজিশনে থাকার প্রয়োজন কী সেটাও জানি না আসলে।
মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর জায়গায় প্রধান নির্বাচক করা হয় বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডের অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। সোমবার বিসিবির বোর্ড সভায় এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
লিপুকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন সুজন। লিপুর বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন নেই, তবে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এ সিদ্ধান্ত না জানা তার কাছে ‘সারপ্রাইজিং’।
এক সময় বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগেরও দায়িত্ব পালন করেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু (৬৩)। তার এ নিয়োগের খবর গণমাধ্যম থেকেই জেনেছেন সুজন।
বোর্ড পরিচালক হলেও সভায় সোমবার উপস্থিত ছিলেন না সুজন। বিপিএলের দল দুর্দান্ত ঢাকার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে তিনি আছেন চট্টগ্রামে। সেখানেই মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে বলেন, লিপু ভাই নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে। আমি সেখানে ছিলাম না, বলতেও পারব না।
সুজন বলেন, উনার ক্রিকেট মেধা, বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না, দ্বিমত থাকতে পারে না। তবে আমার জন্য খুবই সারপ্রাইজিং ছিল। আমি নামটা শুনিনি। বাতাসে অনেক নামই ভাসছিল, গুঞ্জন ছিল। আমার জন্য অবাক করা কারণ আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি জানিই না। এটা আমার খুব অবাক লাগল।
লম্বা সময় ক্রিকেট খেলায় দেশকে, আবাহনীকে নেতৃত্ব দেওয়ায় লিপুর মেধা, যোগ্যতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই সুজনের। তবে মাঝের সময়টায় একটা লম্বা গ্যাপ হয়ে গেছে বলে তার ধারণা।
নান্নুর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে টানা আট বছর কাজ করেছেন হাবিবুল বাশার সুমন। সুজনের প্রত্যাশা ছিল নান্নুর বদলে এবার তাকেই করা হবে প্রধান নির্বাচক। সুজন বলেন, হ্যাঁ, আমি আশা করেছিলাম সুমনই হবে। কেন হয়েছে, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা সিদ্ধান্তের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তারাই বলতে পারবেন। আমি অবশ্যই মনে করি সুমন যোগ্য ছিল।
২০১৩ সালে বিসিবির নির্বাচনে খেলোয়াড় কোটা থেকে পরিচালক পদে লড়াই করেছিলেন সুজন ও লিপু। সেবার লিপুকে হারিয়ে প্রথমবার বোর্ড পরিচালক হন সুজন।