পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ৩৭তম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির পাঞ্জাব রাজ্যের অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন রাজা নাকভি।
লাহোরের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান শাহ খাওয়ারের ডাকা সভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিসিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মহসিন নাকভি। গত মঙ্গলবার থেকে তার তিন বছরের মেয়াদ শুরু হয়েছে।
পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর ও প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ। তার অধীনে সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারে বাবর আজমরা।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে দলের পরাজয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন কোচ মোহাম্মদ হাফিজ কিন্তু পিসিবি তাকে অনুমতি দেয়নি। এমনকি প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজও কোচকে সমর্থন করেননি।
অথচ ওয়াহাব রিয়াজকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ হাফিজ; কিন্তু এখন তারা একে অপরকে এগিয়ে চলছেন।
সূত্রের খবর ফিক্সিংয়ে নিষিদ্ধ হওয়া পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাটকে জাতীয় দলের সহকারী নির্বাচক হিসেবে বেছে নেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় ওয়াহাব রিয়াজকে সমর্থন করেননি হাফিজ। এতে ওয়াহাবের খারাপ লাগে।
ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে দেশের ক্রিকেটেকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সালমান বাটকে নির্বাচক হিসেবে নিয়োগের পর সংবাদমাধ্যমে সমালোচনা হলে, শেষ পর্যন্ত সালমান বাটকে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বাদ দিয়ে দেয় পিসিবি। বাটকে নিয়ে এই নাটকীয়তার জন্য ওয়াহাব রিয়াজকেই দায়ী করছেন মোহাম্মদ হাফিজ।
মজার ব্যাপার হলো পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান মহসিন নকভির সঙ্গে প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে অনেকেই বলছেন মোহাম্মদ হাফিজকে সংবাদ সম্মেলন করতে সমর্থন করেননি ওয়াহাব রিয়াজ।
শুধু তাই নয়, টিম ডিরেক্টর ও প্রধান কোচ মোহাম্মদ হাফিজের কঠোর আচরণ এবং কিছু সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররাও। যে কারণে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নকভি দায়িত্ব নেওয়ায় মনে হচ্ছে পরিস্থিতি শীঘ্রই পরিষ্কার হতে পারে। তার মানে চাকরি হারাতে পারেন মোহাম্মদ হাফিজ।