সিলেট স্টেডিয়ামে কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম বল সুইং করিয়েছেন ডানে-বাঁয়ে।
সিলেট স্টাইকার্সের বিপক্ষে টানা তিন ওভারের প্রথম স্পেলে শরিফুল মাত্র ৮ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। সিলেটের টপ অর্ডারের শামসুর রহমান, নাজমুল হোসেনের পর জাকির হাসানকে বোল্ড করেন ইন সুইংয়ে।
শেষ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন শরিফুল। দিন শেষে জাতীয় দলের এ পেসার ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
টি-টোয়েন্টিতে এটি শরিফুলের সেরা বোলিং। কিন্তু তার দল দুরন্ত ঢাকা জিততে পারেনি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৪৩ রানের টার্গেট তাড়ায় হেরেছে ১৫ রানে।
খেলা শেষে শরিফুল বলেন, আমরা গতকাল সকালে যখন এসেছিলাম, তখন থেকেই আবহাওয়া এমন (মেঘলা) ছিল। তখন বলেছিলাম যে যদি বোলিং পাই, তাহলে সামনে বল করতে হবে। কারণ, আবহাওয়ার একটা সুবিধা আছে, সেটা নেওয়ার জন্য। সেটাই ম্যাচে কাজে দিয়েছে।
এবারের বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন শরিফুল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে সে ম্যাচের শেষ ওভারে শরিফুল একে একে আউট করেছিলেন খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাজমুল হাসান শান্ত ও জাকিরকে আউট করে আরও একবার হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা মোহাম্মদ মিঠুন অবশ্য হ্যাটট্রিকের বলটা সামলে নেন।
হ্যাটট্রিক বল শরিফুল বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। হ্যাটট্রিক চান্স একটা এসেছিল। আমি চেষ্টা করেছিলাম লেগ বিফোর, নাহলে বোল্ড করতে। সে জন্য একটু সুইং করে বল বের হয়ে গেছে। চাপ তৈরি করা বলতে, তখন ব্যাটসম্যানরা চাপে থাকে, বোলাররা না। একটু ভালো জায়গায় যদি করতে পারতাম, তাহলে হয়তো উইকেটটা আসত।
শরিফুলের দারুণ পারফরম্যান্স নিয়ে জাতীয় দলের সতীর্থ তাসকিন আহমেদ বলেন, শরিফুল দারুণ ফর্মে আছে। ওর কবজির পজিশন, সিম পজিশন অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে কিন্তু ওর সিম অনেকটা ওবল থাকত। এ জন্য সুইং কম পেত। সম্প্রতি ওর বলে সুইংটা ভালো হয়েছে। কদিন আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও দারুণ বোলিং করেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট স্ট্রাইকার্স ১৪২/৮, ২০ ওভারে (সামিত প্যাটেল ৩২, মোহাম্মদ মিঠুন ৫৯, আরিফুল হক ২১। শরীফুল ইসলাম ৪/২৪)।
দুর্দান্ত ঢাকা ১২৭/৯, ২০ ওভারে (সাইফ হাসান ১৭, অ্যালেক্স রোস ২০, তাসকিন আহমেদ ২৭*। রিচার্ড এনগারাভা ৪/৩০)।
ফল : সিলেট স্ট্রাইকার্স ১৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রিচার্ড এনগারাভা (সিলেট)।