দেশের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দ্বন্দ্বের কারণে এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত বছরের জুলাইয়ে জাতীয় দলের হয়ে এক সঙ্গে ম্যাচ খেলেন সাকিব-তামিম। এরপর লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলে দেখা-সাক্ষাত হচ্ছে না তাদের।
সাকিব-তামিম দুজনেই এখন বিপিএল নিয়ে ব্যস্ত। সাকিব রংপুর রাইডার্সে। তামিম ইকবাল এবার ফরচুন বরিশালে। বিপিএলের শুরুতে দুজনে মুখোমুখিও হয়েছিলেন। সেই ম্যাচে দুজনের দেখা হলেও কথা হয়নি।
দুই বন্ধুর এই অবস্থা নিয়ে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, সাকিব-তামিমের এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে দলের ড্রেসিংরুমে। একটা গুমোট পরিবেশ তৈরি করেছে। তরুণ ও জুনিয়র খেলোয়াড়রা এই দুজনের সম্পর্কের দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে ড্রেসিংরুমে মন খুলে কথা বলতে পারে না। হাসতে পারে না। মজা করতে পারে না। এসব চিন্তায় থাকলে সেটা আর আনন্দময় ড্রেসিংরুম থাকে না।
সুজন আরও বলেন, আমি জানি কেন এবং কোন কারণে তাদের (সাকিব-তামিম) মধ্যে এমন ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা আক্রোশের তৈরি হলো। দুজনের মধ্যে এমন সম্পর্ক বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়। এই বিষয়টা কন্টিনিউ করতে দেওয়া উচিত নয়। তারা দুজনেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিল। একজন তো এখনো অধিনায়ক। দুজনেই দলের প্রভাবী ক্রিকেটার। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য দুজনেই রোল মডেল। তাদের সাফল্য দেখেই অনেকে ক্রিকেটে এসেছে। তাদের দুজনের ব্যক্তিগত আক্রোশ এবং দ্বন্দ্বমুলক এই সম্পর্ক অবশ্যই দলের জন্য ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে ড্রেসিংরুম কখনোই ভালো থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছায়াতলে অনেকেই থাকতে চায়। দলের তরুণ খেলোয়াড়রা এখন দ্বিধায় এবং সঙ্কটে থাকে যে এ দুজনের মধ্যে কার ছায়াতলে তারা যাবে। একজনের কাছে গেলে যদি অন্যজন মাইন্ড করে! তামিম-সাকিব দুজনেই কিশোর নয়। তারা পরিণত।
জাতীয় দলের সাবেক এই প্রধান কোচ আরও বলেন, দুজনে যদি নিজেদের মধ্যেকার এই সমস্যা সমাধান করতে না চায় তাহলে সেটা কি অন্যে কারোর পক্ষে করা সম্ভব? বাচ্চা কেউ হলে তাদের হয়তো হাত ধরে মিলিয়ে দেওয়া যায়। বড়দের কে তো আর এমনভাবে মিলায় দেওয়া যায় না। তারা দুজনেই বাচ্চার বাবা। তারাই জানে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। তারপরও বিসিবির পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল তাদের সম্পর্ক ঠিক করার। কিন্তু তারা একমত হতে পারেনি।
আরও পড়ুন