Logo
Logo
×

খেলা

আক্ষেপ শুটার রবিউল ইসলামের

Icon

ওমর ফারুক রুবেল

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৭ পিএম

আক্ষেপ শুটার রবিউল ইসলামের

দেশের শুটিং ইতিহাসে এই প্রথম অলিম্পিকে কোটা প্লেসে খেলার হাতছানি ছিল শুটার রবিউল ইসলামের সামেন। মাত্র .৩ পয়েন্টের কারণে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল রাউন্ডে জায়গা করে নিতে পারেননি এই রাইফেল শুটার। তাই অলিম্পিকে সরাসরি খেলার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ রবিউল। বৃহস্পতিবার সকালে জাকার্তা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়ইটসআপে কথা বলেন তিনি।

প্রশ্ন : হতে হতেও হলো না। কেন?

রবিউল ইসলাম : আসলে খেলায় ভাগ্যও সুপ্রসন্ন হতে হয়। তা না হলে কিছুই হয় না।

প্রশ্ন : একটু ব্যাখ্যা করবেন?

রবিউল : বাছাইপর্বে প্রথম তিনটি সিরিজে যেভাবে স্কোর করেছি তাতে মনে হচ্ছিল পেয়েও যেতে পারি অলিম্পিক কোটা। প্রথম তিন সিরিজে যথাক্রমে ১০৪, ১০৫.৬, ১০৫.৫ করি। চতুর্থ সিরিজে ছন্দপতন ঘটে (১০৪.৩)। পরের সিরিজেই আবারও প্রতিযোগিতায় ফিরি ১০৫.৬ পয়েন্ট করে। কিন্তু সর্বনাশ হয়েছে শেষ সিরিজে ১০৩ পয়েন্ট পেয়ে।

প্রশ্ন : কখন বুঝলেন যে আপনার অলিম্পিক কোটার স্বপ্ন শেষ?

রবিউল : তখন আমার খেলা শেষ। ৬২৮ স্কোর করে অপেক্ষায় আছি। খেলা শেষ করার পর পেছনে গিয়ে দেখি আমার সামনে যে ছিল, ইন্দোনেশিয়ার ফাতুর গুস্তাফিয়ান তার তিনটি শট বাকি। তারও সুযোগ ছিল। শেষ সিরিজে সে অসাধারণ শুট করে। তখনই বুঝে যাই যে, আমার সম্ভাবনা শেষ। নিজেকে তখন সান্ত্বনা দিয়েছি।

প্রশ্ন : ক্যারিয়ারে কি এটাই সেরা স্কোর আপনার?

রবিউল : হ্যাঁ, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৬২৮ পয়েন্ট আমার সেরা স্কোর। আগে ছিল ৬২৭.৬। তবে জাতীয় সিলেকশনে আমার স্কোর ছিল ৬৩০। সেটা এখানে করতে পারলে প্যারিস অলিম্পিকে খেলা নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হতো না। 

প্রশ্ন : অলিম্পিকে সরাসরি খেলার আশা কি তাহলে শেষ?

রবিউল : না, সামনে আরও দুটি অলিম্পিক বাছাই রয়েছে। ১১-১৯ এপ্রিল ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো এবং ২২-৩০ এপ্রিল কাতারের দোহায় দুটি অলিম্পিক ফাইনাল কোয়ালিফিকেশন টুর্নামেন্ট রয়েছে। আমার লক্ষ্য ওই দুটিতে ভালো করে সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা।

প্রশ্ন : কোচ কী বললেন?

রবিউল : দেশি-বিদেশি কোচরা আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন এই বলে যে, চেষ্টা করেছ। সামনে সময় আছে। আরও ভালোভাবে চেষ্টা করলে সামনের দুটি টুর্নামেন্ট থেকে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম