ব্রাজিলের চারটি বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি আর নেই

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২০ পিএম

বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে একমাত্র তিনি জিতেছিলেন চারটি বিশ্বকাপ। প্রথম দুটি (১৯৫৮ ও ১৯৬২) খেলোয়াড় হিসাবে। তৃতীয়টি (১৯৭০) ম্যানেজার এবং ক্যারিয়ারের চতুর্থ বিশ্বকাপ (১৯৯৪) জিতেছিলেন সহকারী কোচ হিসাবে।
পেলের মৃত্যুর পর ১৯৫৮ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের শেষ বেঁচে থাকা ফুটবলার মারিও জাগালো চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। শুক্রবার ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ব্রাজিলের এই ফুটবল লিজেন্ড।
শনিবার এই উইঙ্গারের প্রয়াণের খবর দিয়ে তার অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রামে একটি শোকবার্তায় লেখ হয়, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে, বিশ্বকাপজয়ী মারিও জাগালো মারা গেছেন। তিনি তার পরিবারকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন অসুস্থ। হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল। ফুটবলার ও কোচ হিসাবে বিশ্বকাপ জয়ের প্রথম কীর্তি গড়া জাগালোর জীবনের দৌড় এবার থেমে গেল। তার মৃত্যুতে ফুটবলবিশ্বে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জাগালোর জন্ম হয়েছিল ১৯৩১ সালে। যোগ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৫০ বিশ্বকাপ ফাইনালে মারাকানায় ছিলেন সৈনিক জাগালো। তখন তার বয়স ১৯। সেদিন দেখেছিলেন উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের বেদনাবিধুর পরাজয়ে মারাকানার হলুদ কান্না। সেই হারে গোটা দেশ শোকে পাথর হয়ে যায়।
পরে জাগালো বলেছিলেন, ‘আমি তখন একজন সৈনিক। মাঠে ছিলাম দর্শকদের সামলানোর দায়িত্বে। সেদিন নিষ্ঠুর পরাজয়ের পর মারাকানা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমি সেই হারের হতাশা, দুঃখ ও নিস্তব্ধতা কোনো দিন ভুলব না।’
আট বছর পর ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ এনে দেন লেফট উইঙ্গার জাগালো। পেলে তখন তার সতীর্থ। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ফুটবলে জাগালোর প্রভাব বোঝাতে গিয়ে বলেছেন, ‘তাকে মানুষ মনে রাখবে ব্রাজিলীয় ফুটবলের গডফাদার হিসাবে।’