Logo
Logo
×

খেলা

খেলা আছে ভেন্যু নেই

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৭ পিএম

খেলা আছে ভেন্যু নেই

দেশে ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে ৫০টিরও বেশি। অধিকাংশেরই নেই নির্দিষ্ট ভেন্যু। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মালিকানাধিন হাতেগোনা কয়েকটি স্থাপনায় খেলা চালায় তারা।

এ নিয়ে ঝুটঝামেলা পোহাতে হয় ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্তাদের। হাল আমলে চরম আকার ধারণ করেছে ভেন্যু সংকট। এ নিয়ে চলছে কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্ত:দ্বন্দ্ব।

দেশের সব ক্রীড়া স্থাপনার মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সেই হিসাবে ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনের জিমনেশিয়ামে হতো জিমন্যাস্টিক্স, তায়কোয়ান্দো, কুস্তি, কারাতে ও ভারোত্তোলন। এক ভেন্যুতে পাঁচ খেলাকে কেন্দ্র করে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এখন কারাতে, ভারোত্তালন ও কুস্তি ভেন্যুহীন।

জিমনেশিয়াম নিয়ে কোন্দলে জিমন্যাস্টিক্স ও তায়কোয়ান্দো ফেডারেশন। রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিমনেশিয়ামে অধিকাংশ জায়গায় জিমন্যাস্টিক্সের সরঞ্জামাদি পড়ে রয়েছে। ভেতরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করা কাঠের গ্যালারি দিয়ে। 

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি একান্ত সহকারী রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত, ক্রীড়া পরিষদের উপ-পরিচালক (ক্রীড়া) তাসলিমা আক্তারসহ অনেকেই পরিদর্শন করেছেন জিমনেশিয়াম। আগেরদিন দেখতে যান ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান ও হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর। তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা ছিলেন তাদের সঙ্গে।

রানার কথায়, ‘ভেন্যুটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। সবাই মিলে ব্যবহার করতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। জিমন্যাস্টিক্সের কারণে এখানে খেলতে পারছি না আমরা। তিনশ’ তায়কোয়ান্দোকার অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের খেলা ছিল দুদিন। আমরা জিমন্যাস্টিক্সের অনুশীলনের স্বার্থে একদিনে শেষ করে দিয়েছি। তারপরও আমাদের অনুশীলনে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। জিমনেশিয়ামের তিন ভাগের আড়াই ভাগই দখল করে নিয়েছে জিমন্যাস্টিক্স।’ 

এ বিষয়ে জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জামিল বলেন, ‘জিমন্যাস্টদের অনুশীলনের জন্য বড় জায়গার প্রয়োজন। তাছাড়া আমাদের বেশ কিছু সরঞ্জামাদি বিদেশ থেকে এসেছে। অনুশীলন ও সরঞ্জামাদি জিমনেশিয়ামে রাখা হয়েছে। তাই জায়গা লেগেছে বেশি।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ বলেন,‘ আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এক পক্ষ (তায়কোয়ান্দো) বলল তাদের সভাপতি নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দুই সভাপতিকে নিয়ে বসার পূর্ব সিদ্ধান্তই রয়েছে। সমস্যার সাময়িক সমাধান করা হবে মঙ্গলবার।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম