হাথুরুসিংহের প্রিয়পাত্র হিসেবেই বেশ পরিচিত সৌম্য সরকার। হাথুরু প্রথম দফায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় দলের অটোমেটিক চয়েজ ছিলেন সৌম্য।
এরপর হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছেড়ে নিজ দেশ শ্রীলংকার প্রধান কোচ হওয়ার পর বাজে পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে যান সৌম্য।
দ্বিতীয় দফায় হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের সৌম্যকে জাতীয় দলে ফেরান। সাম্প্রতিক অফ-ফর্মে থাকা সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ড সিরিজে সৌম্যকে দলে ফেরানোয় কম সমালোচনা হয়নি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে শূন্যরানে আউট হওয়া সৌম্য আজ দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ১৫১ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১৬৯ রান।
বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেলসনে সৌম্য সরকারের সেঞ্চুরিতে ২৯১ রান করেও ৭ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। এদিন খেলা শেষে সৌম্য বলেন, আমার শতকটা বিফল মনে হচ্ছে। যদি আমরা ম্যাচটা জিততাম, তাহলে অনেক ভালো লাগত। ব্যক্তিগতভাবে যদি বলেন, তাহলে ভালো লাগছে; কিন্তু দিন শেষে না। কারণ ক্রিকেট দলীয় খেলা। দল যদি জিতত, তাহলে ভালো লাগাটা পরিপূর্ণতা পেত। ভালো স্মৃতি থাকত।
তিনি আরও বলেন, আমরা পাওয়ারপ্লেতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। দ্রুত উইকেট যদি না যেত, ওই সময় একটা ভালো জুটি যদি হতো, তাহলে মুশি ভাই (মুশফিকুর রহিম) ও মিরাজ এসে সংগ্রহটাকে আরও বড় করতে পারত। আবার মুশি ভাই-মিরাজ যে সময় আউট হয়েছে, সেই সময় যদি না হতো, তাহলে আরও ৪০ থেকে ৫০ রান হতে পারত। ৩০০-এর আশপাশে রান করতে পারলে গল্পটা আলাদা হতে পারত।
জাতীয় দলে ফেরার পর প্রথম দুই ম্যাচেই শূন্যরানে আউট হওয়ায় আজ যে চাপ অনুভব করেছেন, সেটা অস্বীকার করেননি সৌম্য- প্রতিটি বল ফেস করাই চাপের। একজন ব্যাটসম্যান একটাই সুযোগ পায়। একটা ভুল শট খেললেই আউট হয়ে যায়। খারাপ করলে তো সবারই খারাপ লাগে। হয়তো ভালো করলে আজ এ কথাগুলো শুনতে হতো না। হয়তোবা ভালোর জন্যই এটা হয়েছে। কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। ঈশ্বর যেটা দিয়েছেন, তা নিয়েই সন্তুষ্ট। সেটা শূন্য হোক বা আজকের ১৬৯ হোক।