![এক ঘুসিতেই বন্ধ ফুটবল ম্যাচ](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/12/12/image-750544-1702364656.jpg)
ফুটবল মাঠে মারামারি একেবারেই রোজকার ঘটনা। ফাউল-ট্যাকেল কিংবা রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রায়ই মেজাজ হারান প্রতিপক্ষরা। সেখান থেকে হাতাহাতির ঘটনা দেখা যায় হরহামেশাই। কদিন আগেই ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা ম্যাচেই দেখা গেছে অন্য রকম এক মারামারির ঘটনা। যেখানে মারামারি হয়েছে গ্যালারিতে থাকা ভক্তদের মাঝে।
তবে তুরস্কে গত সোমবারের ঘটনা ছাড়িয়ে গিয়েছে সব মাত্রাই। এবার খেলোয়াড় নয়, মারামারিতে জড়িয়েছেন সরাসরি এক ক্লাব সভাপতি। আর এর জেরে বন্ধই হয়ে গেছে টার্কিশ ফুটবল লিগ। এমনকি এ ঘটনায় মুখ খুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আঙ্কারাগুজুর বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নামে রিজেসপোর। দুই দলের ম্যাচ শেষ হয় স্বাভাবিক ১-১ গোলে ড্র দিয়ে। এর পরই হওয়ার পর ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আঙ্কারাগুজু ক্লাবের প্রধান ফারুক কোজা আচমকাই রেফারি হালিল উমুত মেলেরের মুখে ঘুষি মারেন।
ঘুসির পর সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান রেফারি। পরে ফুলে যাওয়া বাঁ চোখ নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় রেফারিকে। ৩৭ বছর বয়সি রেফারিকে একপর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে তুরস্কের শীর্ষ ফুটবল লিগটিকে।
তুরস্কের অন্যতম নামি এই রেফারি মারধরের শিকার হওয়ার পর তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) লিগ স্থগিতের খবর জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এর আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে, ‘শুধু হালিল উমুত মেলেরের ওপরই নয়, এই অমানবিক ও ঘৃণিত আঘাত তুরস্কের ফুটবল–সংশ্লিষ্ট সবার ওপরই হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবেই অমানবিক এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এই ঘটনায় জড়িত ক্লাব, ক্লাবটির সভাপতি, কোচ ও আরও যাঁরা হালিল উমুত মেলেরের ওপর হামলা করেছেন, তাঁদের সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।’
এমন ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় এরদোয়ান লিখেছেন ‘খেলাধুলা হলো শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। সহিংসতার সঙ্গে খেলাধুলা যায় না। তুরস্কের ক্রীড়াঙ্গনে আমরা সহিংসতা বরদাশত করতে পারি না।’