মোহাম্মদ হাফিজ
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) সালমান বাটকে সিলেকশন কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার একদিন পরই তাকে অপসারণ করা হয়েছে। আর এক্ষেত্রে নাকি মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন পিসিবির টিম ডিরেক্টর মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এমনই খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পিসিবি সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল, রাও ইফতিখার আঞ্জুম এবং সালমান বাটকে পরামর্শক সদস্য হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু বাটকে অন্তর্ভুক্ত করায় তীব্র সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্তটি দ্রুত পাল্টে ফেলা হয়।
ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সফরে বাটের নিয়োগের বিষয়ে জানার পর টিম ডিরেক্টর হাফিজ পিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদেরকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান। এমনকি হাফিজ তাৎক্ষণিকভাবে লাহোরে পিসিবি সদর দপ্তরে ফোন করে বলেন, সালমান বাটকে নিয়োগ করা একটি ভুল ছিল।
আগে থেকেই হাফিজ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সাথে কাজ করার বিষয়ে তীব্র বিরোধিতা করে আসছিলেন। সেখানে সালমান বাটকে নিয়োগ দেওয়ায় ব্যাংক সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি এ সংক্রান্ত পুরনো ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামনে চলে আসে।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সালমান বাটের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওয়াহাব তাকে জাতীয় সেটআপে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় দলের যাত্রার আগে হাফিজের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে হাফিজের জোরাল পরামর্শ সত্ত্বেও ওয়াহাব বাটকে নিয়োগের জন্য বোর্ডের অনুমোদন লাভ করেন।
কিন্তু সিদ্ধান্তটি জানাজানির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় হাফিজের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে। পুরানো ভিডিওগুলো সারফেসে (সামনে) চলে আসে, যেখানে তিনি ফিক্সারদের সাথে কাজ করার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন।
এমন তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে হাফিজ কর্তৃপক্ষের ওপর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেন। মিডিয়া এবং সাবেক ক্রিকেটাররাও সালমানের নিয়োগের তীব্র বিরোধিতা করেন। এমনকি উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারাও অসন্তুষ্ট ছিলেন বিষয়টিতে। ফলস্বরূপ, পিসিবি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।
এর আগে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে নো-বল করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার জন্য ২০১১ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন সালমান বাট। আইসিসি তার ওপর পাঁচ বছরের স্থগিতাদেশসহ ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।