তাইজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
সাকিব আল হাসান টেস্টে অনিয়মিত হয়ে পড়ায় তাইজুল ইসলামই এখন স্পিন বিভাগের মূল অস্ত্র। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। অনুমিতভাবেই ‘ভালো লাগে’ তাইজুলের, তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ‘বুড়ো’ বানিয়ে না দেওয়ার অনুরোধও জানালেন!
সীমিত ওভারের ফরম্যাটে জাতীয় দলে তেমন খেলা হয় না বলে গত কিছু দিন তেমন চাপ ছিল না। এই সময়ে টেস্ট স্পেশালিস্টরা বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিলেও তাইজুল আলাদা কোনো কাজ করেননি।
সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে তাইজুল বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগে। কিন্তু বুড়া বানায়ে দিয়েন না আবার! তেমন কোনো প্রস্তুতি আমি নিই না। প্রস্তুতি একটাই থাকে একটা জায়গায় বল করা। সেখানে কতটা ভ্যারিয়েশন মানিয়ে নিতে পারলাম সেটাই ইম্পরট্যান্ট।'
কেন উইলিয়ামসনের মতো ব্যাটারকে বলে-কয়ে আউট করা যেন দুধভাতের মতো সরল ব্যাপার তাইজুলের কাছে।
অভিজ্ঞতাই কি এর পেছনে দায়ী? উইলিয়ামসনের জোড়া উইকেট শিকারের পর তাইজুলের ভাষ্য, ‘ভাই বলল না একটু আগে, ৯ বছর খেলেছি। ওদের মধ্যে আস্থা ছিল হয়ত আমি কোনো সেটআপ করে আউট করতে পারব। আলহামদুলিল্লাহ হয়েছে।’
সিলেট টেস্টে স্পিনারদের সাফল্যের পেছনে দেখছেন স্কিলের অবদান। কারণ উইকেটকে এখনো ব্যাটিং বান্ধব মনে হচ্ছে তাইজুলের, ‘সকালেও উইকেট এত কঠিন মনে হচ্ছিল না। আমাদের বোলাররা অনেক দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ওদের বড় ব্যাটারদের দ্রুত হারানোয় চাপে পড়েছে। বলব না উইকেট খুব খারাপ।’