বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে 'টাইমড আউট' হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শ্রীলংকার এই ব্যাটসম্যান কিছুতেই এই স্মৃতি ভুলতে পারছেন না। ১৪৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘টাইমড আউটে’র শিকার হন তিনি।
এ নিয়ে সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ দল— এমনকি আম্পায়ারের বিপক্ষেও কথা হচ্ছে। অনেকে ম্যাথিউসের পক্ষে ব্যাট ধরছেন। কাঠগড়ার তুলছেন সাকিববে।
ম্যাথিউসও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জবাবে ম্যাথিউসের আবেগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন টাইগার পেসার রুবেল হোসেন।
ম্যাচে সাকিবের আপিলে কোনো বল না খেলেই ফিরে যেতে হয় ম্যাথিউসকে। সে কারণে নিয়ম থাকলেও সবাই ক্রিকেট স্পিরিট ঠিক না রাখা নিয়ে আঙুল তুলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবের দিকে।
সতীর্থদের পাশে দাঁড়িয়ে রুবেল নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে ম্যাচশেষে দেওয়া সাকিবের মন্তব্য শুরুতে তুলে ধরেন। সাকিব বলেছেন— ‘আমি জানি না ঠিক করেছি নাকি ভুল। আমি যা করেছি দলের প্রয়োজনে করেছি। আম্পায়ার আমার কাছে জিজ্ঞাসা করেছে— আমি সিরিয়াস কিনা, আমি এটাও জানি এটা নিয়ে বিতর্ক থাকবে।’
পরে ম্যাথিউসের ৯ বছর আগের এক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রুবেল, ‘ম্যাথিউস আপনি একজন প্রফেশনাল ক্রিকেটার। ৯ বছর আগে আপনি যখন জস বাটলারকে একটি বিতর্কিত মানকাডিং আউট করেছিলেন, তখন আপনার আবেগ কোথায় ছিল। কাউকে না কাউকে পথ দেখাতে হবে তো, গ্রেট ব্রাদার।’
রুবেল যে ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তা হলো— ২০১৪ সালের ৩ জুনে শ্রীলংকা-ইংল্যান্ড ম্যাচে হওয়া একটি মানকাডিং আউট। ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জস বাটলারকে মানকাডিং আউট করেন লংকান স্পিনার সচিত্রা সেনানায়েকে। মানকাডিং বিতর্কের ম্যাচটি জিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নেন লংকানরা। ম্যাচশেষে শ্রীলংকার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটের নিয়ম মেনেই এটি (মানকাডিং) করা হয়েছে।